শেষ মুহুর্তে মেলায় দর্শনার্থীর চেয়ে ক্রেতা বেশি
প্রকাশিত : ০৯:১৬ পিএম, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ০৯:৩২ পিএম, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ শনিবার
মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার সময় বাড়ানো হয়েছে আরো চারদিন। বর্ধিত এ সময়েও মেলায় বেড়েছে আগতদের ভিড়। তবে এতোদিন মেলায় ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থী বেশি থাকলেও এখন উল্টো ক্রেতার সংখ্যা বেশি। শেষ মুহুর্তে ক্রেতারা যেমন বাসা থেকেই পণ্য ক্রয়ের প্রস্তুতি নিয়ে আসছেন, বিক্রেতারাও তেমনি অল্প লাভেই পণ্য বিক্রি করছেন। স্বল্পদামে পণ্য ক্রয়ে ক্রেতারাও খুশি। আর অধিক পণ্য বিক্রি করে বিক্রেতারাও সন্তুষ্ট।
আজ শুক্রবার মেলার বর্ধিত সময়ের শেষ ছুটির দিন। এদিন সকাল থেকে শীত, হালকা কুয়াশা এবং কাঁচা রোদ গায়ে মেখে পরিবার-পরিজন আর বন্ধুবান্ধব মিলে ২৩তম এ মেলায় ভিড় জমাতে থাকেন রাজধানীবাসী। আগন্তুকদের এ ভিড় বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে। যা সন্ধ্যার আগ মুহুর্তে জনস্রোতে রূপ নেই। মেলার গেট ও আশপাশের রাস্তাগুলো হেটে চলা কঠিন হয়ে পড়ে। রাস্তাগুলোই যানচলাচলে বাধার সৃষ্টি হয়। সংসদ ভবন ও আগারগাঁও মোড় এলাকা পর্যন্ত ছিল যানযট। যট ভেঙ্গেও মেলায় আসছিলেন শিশু, কিশোর, যুবক , বৃদ্ধ সহ সব শ্রেণি পেশার নারী–পুরুষ। শিশুদের হৈ-হুল্লোড় আর তারুণ্যের কোলাহল সকাল থেকেই দেখা গেছে বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গণ।
মেলার ৩৩তম দিনে গিয়ে দেখা গেছে, মেলার স্টলগুলোয় ছিল ক্রেতার উপচেপড়া ভিড়। পছন্দ ও প্রয়োজন অনুযায়ী ক্রেতারা বেছে নিচ্ছেন সাজানো উপকরণগুলো। শিশুদের পছন্দের তালিকায় ছিল খেলনার দোকান। রিমোট কন্ট্রোল ও ব্যাটারিচালিত খেলনাসামগ্রী বেশি বিক্রি হয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা। আর তরুণীদের বেশিরভাগকেই দেখা গেছে সালোয়ার-কামিজের দোকানে ভিড় জমাতে।
রাজধানীর মিরপুর থেকে আসা রব্বানী বলেন, মেলায় এসেছি ব্লেজার কিনতে। শোরুমগুলোয় এ ধরনের কিনতে গেলে প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা লাগে। কিন্তু মাত্র ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকায় তা মেলায় পেয়ে যাচ্ছি। আর অনেক দোকান ও কালেকশন বেশি থাকায় দেখেশুনে পছন্দমতো কিনতে পারছি।
বর্ধিত এ ছুটির দিনে মেলায় বেচাবিক্রি কেমন জানতে চাইলে বিক্রেতা সাইফুল বলেন, মেলার সময় আরো চারদিন বাড়ানো হয়েছে।এতে আমাদের বেচাবিক্রি আরো বেড়েছে। বর্ধিত এ সময়ে দর্শনার্থীর চেয়ে ক্রেতার সংখ্যা বেশি। আমি গত ছয় বছর ধরে এ মেলাতে অংশ নিয়ে যাচ্ছি। প্রতিবারই দেখি শেষ মুহুর্তে বেচাকেনা বেশি হয়। কারণ এ সময় আগতরা বাড়ী থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে আসে পণ্য ক্রয়ের জন্য।
শেষ মুহুর্তে মেলায় বাসাবাড়ির সাজসজ্জার দোকানগুলোতেও ছিল নারীদের বেশি ভিড়। বিভিন্ন রকমের হাতে তৈরি পণ্য কিনছেন তারা। ফুলদানি ও শোপিসগুলো ক্রেতাদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে বলে জানান হ্যান্ডিক্র্যাফট বিক্রেতা রহমান রানা। তিনি বলেন, মেলা উপলক্ষে আমরা বেশকিছু নতুন ওয়াল শোপিস তৈরি করেছি। অন্যদিন তেমন বিক্রি না হলেও আজ সব বিক্রি হয়ে গেছে। তাই নতুন করে অর্ডার করতে হবে আমাদের।
গত ১ জানুয়ারি শুরু হওয়া এ মেলার পর্দা নামার কথা ছিল ৩১ জানুয়ারি। কিন্তু ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মেলার সময় আরো ৪দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই। সে অনুযায়ী আগামী ৪ জানুয়ারি রোববার মেলা শেষ হবে।
আরকে/টিকে