জেবিসিসিআই ও জাপান দূতাবাস কর্মকর্তাদের মতবিনিময়
প্রকাশিত : ১১:৩৭ পিএম, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ শনিবার
জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি (জেবিসিসিআই) এর ১২ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদল জাপান দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি তাকাশী শিমোকিওদার সাথে সাক্ষাৎ করেন। শনিবার সকালে রাজধানীর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে এ সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, অবকাঠামোসহ বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে জাপানের অবদান অপরিসীম। জাপান নিঃশর্তভাবে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে আসছে। তিনি সোনাদিয়া সমুদ্র বন্দর ও বে-টার্মিনাল নির্মাণে জাপানের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। বাংলাদেশে ২০০ এর অধিক জাপানী কোম্পানি রয়েছে উল্লেখ করে চেম্বার সভাপতি বন্দরসহ ভৌগোলিক অবস্থানগত সুবিধা কাজে লাগিয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলে জাপানী বিনিয়োগ বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন। জাপানী বিনিয়োগকারীদের জন্য ১টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার আহবানও জানান তিনি।
জেবিসিসিআই সভাপতি সালাহ্উদ্দীন কাসেম খান বলেন-বাংলাদেশের জিডিপিতে চট্টগ্রামের অবদান প্রায় ১২ শতাংশ। কিন্তু সে অনুপাতে বাণিজ্যিক রাজধানীর সুযোগ সুবিধা আরও বৃদ্ধি করতে হবে। তিনি স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ সৃষ্টিতে জাইকা, জেটরো, চিটাগাং চেম্বার, জেবিসিসিআই এবং দূতাবাসের সমন্বয়ে একটি ডায়ালগ আয়োজনের অনুরোধ জানান। সরকারের নীতিমালার সাথে সঙ্গতি রেখে চট্টগ্রাম থেকে মিরসরাই পর্যন্ত শিল্প এলাকার সুবিধার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
জাপান দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি তাকাশী শিমোকিওদা বলেন, জাপানীরা অনেকগুলো কোম্পানি অন্যদেশে স্থানান্তর করতে আগ্রহী এবং বাংলাদেশ তাদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে। এক্ষেত্রে তিনি সরকারকে জাপানী কোম্পানিগুলোর জন্য আরও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহবান জানান।
এ সময় চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম ছাড়াও সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. নুরুন নেওয়াজ সেলিম, সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ, পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ ও সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ আবদুল মজিদ, জেবিসিসিআই’র এডভাইজর আখতারুজ্জামান, মহাসচিব তারেক রাফি ভূঁইয়া বক্তব্য রাখেন।(বিজ্ঞপ্তি)।
এমএইচ/টিকে