ঢাকা, শনিবার   ১৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ২ ১৪৩১

মহান মে দিবস আজ

প্রকাশিত : ০১:১৮ পিএম, ১ মে ২০১৬ রবিবার | আপডেট: ০১:১৮ পিএম, ১ মে ২০১৬ রবিবার

আজ মহান মে দিবস। শ্রমজীবী-মেহনতি  মানুষের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার দিন। ১৮৮৬ সালে আমেরিকার শিকাগো শহরে রক্তের পথ ধরে প্রতিষ্ঠা পায় শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার। যুগে যগে তাই পহেলা মে অনুপ্রেরনা হয়ে আছে শ্রমিকের অধিকার আদায়ের দিন হিসেবে। তবে মেহনতি মানুষের জীবন মান উন্নয়ন ছাড়া বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর সব স্বপ্নই দু:স্বপ্ন হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ১৮৮৬ সালের ১ মে। যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটে দৈনিক ৮ ঘণ্টা শ্রমের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকের ওপর গুলি চালানো হলে শহীদ হন ১১ জন। শ্রমিককে দাস হিসেবে মনে করা রক্তচোষা মালিক শ্রেণীর শোষণের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠে জনমত। সেদিনের আত্মত্যাগের পথ ধরেই ৮ ঘন্টা শ্রমদিন হিসেবে স্বীকৃতি পায় বিশ্বজুড়ে। তবে কাগজে কলমে অধিকার প্রতিষ্ঠা হলেও বাস্তবে রয়েছে বিস্তর ফারাক। নির্ধারিক শ্রমঘন্টার বেশী কাজ করেও ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত মেহনতি মানুষ। আর এই বাস্তবতার মুখোমুখি বাংলাদেশও। প্রতিদিন মেহনতি শ্রমিকের ঘামে ভিজে সমৃদ্ধ হচ্ছে দেশ। অথচ সেই শ্রমিকের জীবন মানের উন্নতি হয়নি সময়ের সঙ্গে। শ্রমিক আজো শোষনের সেই তিমিরেই বন্দি। এমনাটাই মনে করেন শ্রমিক নেতারাও। শ্রমিকের নূনতম মজুরি যুক্তিসংগত না হলে কোনো অর্থনৈতিক অর্জনই স্থায়ি হবেনা বলে মত নিয়েছেন বিশেষজ্ঞরাও। শ্রমজীবী-মেহনতি মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন ছাড়া মধ্যম আয়ের দেশে উন্নিত হওয়ার ঘোষণা কাগজেই থাকবে বলে মনে করেন তারা।