ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্রকে ‘স্নায়ুযুদ্ধকালীন মানসিকতা’ পরিবর্তনের আহ্বান

প্রকাশিত : ০৬:৩২ পিএম, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ১২:০১ এএম, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সোমবার

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ‘স্নায়ুযুদ্ধকালীন মানসিকতা’ পরিবর্তন করে উদার নীতি অনুসরণ করার আহ্বান করেছে চীন। ট্রাম্প সরকারের নতুন ‘পারমাণবিক অস্ত্র নীতি’ প্রকাশের পর এক প্রতিক্রিয়ায় এ আহ্বান জানায় চীন।

চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্টের দিকে ইঙ্গিত করে এক বিবৃতিতে জানায়, “বিশ্বের সবথেকে বেশি পারমাণবিক অস্ত্র যে দেশটিতে আছে তাদের উচিত প্রচলিত পারমাণবিক নীতি অনুসরণ করা। তা না করে তারা এর উল্টো পথে হাটতে পারে না”।

সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দিয়েছে যে, বড় আকারের পারমাণবিক অস্ত্রের বদলে তারা এখন অপেক্ষাকৃত ‘ছোট’ আকারের বোমা  তৈরি করবে। তবে আকারে ছোট হলেও তাদের ধ্বংস ক্ষমতা হবে ব্যাপক। রাশিয়া, চীনসহ বেশ কিছু দেশ ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এ পারমাণবিক নীতির নিন্দা জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু নীতি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের পুরনো প্রযুক্তির পারমাণবিক বোমা নিয়ে উদ্বিগ্ন। বরং রাশিয়া, চীন, ইরান এবং উত্তর কোরিয়ার মত দেশের আধুনিক পারমাণবিক বোমা সমৃদ্ধ দেশকে নিজেদের জন্য বড় হুমকি হিসেবে মনে করছে। গত শুক্রবার এ বিষয়ে এক নতুন পরমাণু নীতি ঘোষণা করে পেন্টাগন। তাতে বলা হয়-

১) ভূমি ভিত্তিক ব্যালাস্টিক মিসাইল, সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য মিসাইল, বায়ুতেই নিক্ষেপণযোগ্য মিসাইলগুলোতে বড় ধরণের উন্নতিসাধন দরকার যা সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা’র সময়ই শুরু হয়েছিল।

২) সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপনযোগ্য কিছু পারমাণবিক বোমাকে আকারে ছোট করা হবে।

৩) সাগর থেকে নিক্ষেপণযোগ্য ক্রুজ মিসাইল প্রযুক্তিতে ফিরে যাওয়া।

নিউক্লিয়ার পোস্টার রিভিউ নামের ওই প্রতিবেদনে বলা হয় যে, ২০ কিলোটনের চেয়ে ছোট আকারের বোমা প্রস্তুত করা হবে। অন্য পারমাণবিক বোমার তুলনায় এদের ধ্বংস ক্ষমতা কম হলেও তা নিতান্ত কম নয়। বরং তাও উদ্বেগজনক।

চীনের প্রতিক্রিয়া

আজ রবিবার এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এর বিরোধিতা করে চীন। বেইজিং থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় জানায়, যুক্তরাষ্ট্র এক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে যাচ্ছে। অনেকটা ‘স্নায়ুযুদ্ধকালীন সময়ের মত’।

একই বিবৃতিতে নিজেদের পারমাণবিক ক্ষমতাকে ‘প্রতিরক্ষার জন্য’ উল্লেখ্য করে চীন বলে, “যুক্তরাষ্ট্রের উচিত এ ধরণের উস্কানিমূলক কর্মকান্ড ত্যাগ করা। পাশাপাশি তার পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পারমাণবিক অস্ত্রের হ্রাসকল্পে কাজ করা”।

রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া

চীনের পাশাপাশি রাশিয়াও যুক্তরাষ্ট্রের এ পারমানবিক নীতির ব্যাপক সমালোচনা করেছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রী সারজেই ল্যাভরভ এক বিবৃতিতে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের এই পারমাণবিক নীতিতে শুরু থেকেই রাশিয়াকে অন্যায়ভাবে ‘হুমকি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যা মোটেও কাম্য নয়। তবে রাশিয়াও এর জবাব দিতে সদা প্রস্তুত আছে”। একই বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সার্বিক অবস্থানের বিষয়ে ‘গভীর হতাশা’ ব্যক্ত করেছে রাশিয়া।

সূত্রঃ বিবিসি

//এস এইচ এস//