অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে কাজ করছে পিকেএসএফ
প্রকাশিত : ০৯:৪৭ পিএম, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ রবিবার
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, ``সমাজের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের জন্যে কাজ করছে পিকেএসএফ। ক্ষুদ্রঋণ দিয়ে কেবল দারিদ্র্য বিমোচন হয় না। তার সঙ্গে আরো কিছু বিষয় যোগ করতে হয় যা পিকেএসএফ করছে। শুধু ক্ষুদ্রঋণ দিয়ে খান্ত না থেকে প্রান্তিক পর্যায়ে তারা উদ্যেক্তা সৃষ্টি করছে। সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে। এছাড়া জাতীয় উন্নয়নের সাথেও সমন্বয় করছে পিকেএসএফ।
রোববার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ভবনের অডিটোরিয়ামে এ মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমৃদ্ধি কর্মসূচিভূক্ত ইউনিয়ন পরিষদের ২০০ চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট ১১৬টি সহযোগী সংস্থার নির্বাহী প্রধানদের অংশগ্রহণে এ মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রী এসময় আরও বলেন, উন্নয়ন যে মানুষের অধিকার সেটা পিকেএসএফ প্রমাণ করছে। মানুষকে দারিদ্র্যের বৃত্ত থেকে বের করে আনতে প্রতিষ্ঠানটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, টেকসই উন্নয়ন করতে হলে সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। সমাজের অনগ্রর জনগোষ্ঠীর জীবনমানের উন্নয়ন ব্যতীত কোনো উন্নয়ন সার্থক হবে না।
এক্ষেএে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাকে আরো ১০ ভাগ বৃদ্ধি করতে হবে। এদেরকে মূল ধারার জনগোষ্ঠীর সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে। পিকেএসএফ এর কর্মসূচিতে এই বিষয়গুলোও যুক্ত করা এখন সময়ের দাবি।``
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, "বাংলাদেশের উন্নতির সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা দারিদ্র্যতা। সম্পদের সুষম বন্টনের অভাবে দারিদ্র্যতা বেড়েছে। বর্তমান সরকার গত নয় বছর ধরে আন্তরিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে দারিদ্র্যতা এখন হ্রাস পেয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ এখন আর অভূক্ত থাকেন না। এদেশে এখন আর স্যানিটেশনের সমস্যায় নেই। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়নে বাংলাদেশ প্রতিবেশি দেশগুলোর চেয়েও অনেক ভালো করছে।
পিকেএসএফ এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ বলেন, ``চিন্তা চেতনা প্রসূত সার্বিক মানব মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে `সমৃদ্ধি কর্মসূচি` ২০১০ সাল থেকে বাস্তবায়ন শুরু করেছে পিকেএসএফ। বর্তমানে দেশের ৬৪ জেলায় ২০০টি ইউনিয়নে এ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। `কাউকে বাদ দিয়ে নয়` এ নীতির ভিত্তিতে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যুব উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ, উপযুক্ত অর্থায়ন, ভিক্ষুক পুনর্বাসনসহ নানাবিধ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সমন্বয়ে টেকসইভাবে দারিদ্র্য বিমোচন করতে সহযোগী সংস্থা এবং ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক যৌথভাবে এ কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়ন করছে পিকেএসএফ।
মৌলভীবাজার জেলার আখাইলকুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামিম আহমেদ বলেন, ``পল্লী উন্নয়নে পিকেএসএফ এর কর্মসূচিগুলো সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের সাথে সমন্বয় সাধন করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দারিদ্র বিমোচনে ব্যাপক অবদান রাখছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের মত জনপ্রতিনিধিরাও সমাজের পিছিয়ে থাকা মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের কর্মযজ্ঞের অংশীদার হতে পারছে।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ ভিশন বাস্তবায়নে জ্ঞান ভিত্তিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ আলোকিত বাংলাদেশ গড়তে পিকেএসএফের পাশাপাশি সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান বক্তারা।
অনুষ্ঠানে পিকেএসএফ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল করিম উপস্থিত ছিলেন।
কেআই/ টিকে