‘চট্টগ্রামের উন্নয়নে আন্তরিকভাবে কাজ করছে সরকার’
প্রকাশিত : ১০:৪৪ পিএম, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ১১:০৩ পিএম, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সোমবার
চট্টগ্রামের ব্যাপক উন্নয়নে বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, দেশের বৃহত্তম অর্থনৈতিক জোন মিরসরাইতে ব্যাপক ভিক্তিতে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী এখানে ‘বেপজার’ প্রকল্প উদ্বোধন করেছেন। রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকার ২০১৮-২০১৯ মেয়াদের নবনির্বাচিত নির্বাহী পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী জানান, মিরসরাই থেকে সীতাকুণ্ড হয়ে সমুদ্রের তীর ঘেঁষে কক্সবাজার পর্যন্ত হাইওয়ে নির্মাণের স্বপ্ন আছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। একদিন হয়তো এ স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। কক্সবাজার পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে মেরিনড্রাইভ হাইওয়ে করার পরিকল্পনাও রয়েছে সরকারের।
গৃহায়ণমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। চট্টগ্রামের উন্নয়নে সমিতির বিভিন্ন সময়ের দাবিসমূহের অধিকাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের শিল্পায়নে গ্যাস সমস্যার সমাধান হবে মহেশখালীর মাতারবাড়িতে চালু হতে যাওয়া এলএনজি টার্মিনালের মাধ্যমে। দেশের উন্নতি ও বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের অধীনে চট্টগ্রাম রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল বা সিইপিজেডকে আরও সম্প্রসারিত করার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকার হাসপাতালের জন্য জমি বরাদ্দ দেওয়ার সুযোগ হয়েছে, তাই পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে হাসপাতালের জমি বরাদ্দের জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে ব্যবস্থা করেছি। তিনি সমিতির হাসপাতাল নির্মাণেও সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
তিন পর্বের এই অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে সভাপতিত্ব করেন অভিষেক অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ও সমিতির সদ্য বিদায়ী সভাপতি সাবেক মুখ্যসচিব মো. আবদুল করিম। সহ-সভাপতি মো. গিয়াস উদ্দীন খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরান তেলাওয়াতের পর সমিতির সাবেক সভাপতি মরহুম মেজর জেনারেল (অব.) এম আই করিমের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর গীতা ও ত্রিপিটক থেকে পাঠ করা হয়। নবনির্বাচিত নির্বাহী পরিষদের সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেন সমিতির প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও সাবেক সচিব মো. দিদারুল আনোয়ার।
প্রথম পর্বের শেষে সমিতির নির্বাহী পরিষদের নবনির্বাচিত সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল মোবারক ও সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মাবুদের কাছে বিদায়ী সভাপতি মো. আবদুল করিম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন কর্তৃক যথাক্রমে সমিতির পতাকা ও চাবি হস্তান্তর করা হয়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সভাপতিত্ব করেন সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল মোবারক। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- সমিতির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সাবেক এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি আবু আলম চৌধুরী, চট্টগ্রাম সমিতির হাসপাতাল কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম খান, সমিতির সাবেক সভাপতি রেজাউল হক চৌধুরী মুশতাক, সাবেক সভাপতি মিসেস লায়লা সিদ্দিকীসহ আরও অনেকে এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সমিতির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মাবুদ।
এতে উপস্থিত ছিলেন- সমিতির নবনির্বাচিত সহ-সভাপতি ও অর্থ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ নির্বচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মাফরুহা সুলতানাসহ সমিতির উপদেষ্টা পরিষদ, ট্রাস্টি বোর্ড, হাসপাতাল কমিটি ও নির্বাহী পরিষদের সাবেক ও বর্তমান নেতারা এবং সমিতির বিপুল সংখ্যক সদস্য।
অভিষেক অনুষ্ঠানে ঢাকায় বসবাসরত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক চট্টগ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন। এ উপলক্ষে সমিতির মুখপত্র চট্টলশিখার ‘অভিষেক’ সংখ্যা প্রকাশিত হয়। সব শেষে সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা কামাল শানুর উপস্থাপনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শিশু শিল্পীদের দলীয় নৃত্যের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন চৈতী মুৎসুদ্দি, শেফালী, প্রেম সুন্দর বৈষ্ণব ও নীলিমা (দ্বৈত), ফকির সাহাব উদ্দিনসহ বিশিষ্ট শিল্পীরা। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।