ভাষাসৈনিকের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাননি ময়মনসিংহের মালেক
প্রকাশিত : ১২:১১ পিএম, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৯:৪১ পিএম, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ বুধবার
৫২’র ভাষা আন্দোলনে রক্তঝরা ফেব্রুয়ারিতে যেসব কিশোর আন্দোলন-সংগ্রামে সামনের কাতারে ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার খোন্দকার আব্দুল মালেক শহীদুল্লাহ। তবে, ভাষা আন্দোলনের ৬৬ বছর পরেও পাননি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও মর্যাদা। বয়সের ভারে ন্যুব্জ এই ভাষা সৈনিকের এখন দিন কাটে গল্প, আড্ডায় আর পরিবার পরিজন নিয়ে।
রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস তখন উত্তাল, অগ্নিগর্ভ। সবখানে একই আলোচনা রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই। এর ঢেউ লাগে ময়মনসিংহের তৎকালীন মহকুমা জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জেও। দেওয়ানগঞ্জ কো-অপারেটিভ স্কুলের ছাত্রদের সঙ্গে ভাষা আন্দোলনের মিছিলে যোগ দেন নবম শ্রেণির কিশোর খোন্দকার আব্দুল মালেক শহীদুল্লাহ। বাড়ি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় হলেও বাবার সরকারি চাকরির কারণে ওই স্কুলে পড়তেন তিনি।
হরতাল, ট্রেন অবরোধ ও মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ায় হারাতে হয় ছাত্রত্ব। তারপরও ভাষা আন্দোলনের লড়াই থেকে দমাতে পারেনি মালেককে। আত্মগোপন আর কারাবরণ কিশোর মালেকের স্বাভাবিক জীবন বিপর্যস্ত করে তোলে।
ভাষা সৈনিক আব্দুল মালেকের এখন দিন কাটে বই পড়ে, পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে গল্প করে। ৬৬ বছরেও এই ভাষা সংগ্রামী রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না পাওয়ায় হতাশ পরিবার ও স্থানীয়রা।
আর ভাষা সংগ্রামীদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষাবিদরা। সর্বস্তরে চালু হোক বাংলা ভাষা-পড়ন্ত বেলায় এটাই চাওয়া ভাষা সংগ্রামী খোন্দকার আব্দুল মালেক শহীদুল্লাহ’র।
এসএইচ/