ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৯ ১৪৩১

ঢাকা টেস্টে একাদশে রাজ্জাক-সাব্বির!

প্রকাশিত : ০১:০৫ পিএম, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৬:০১ পিএম, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ বুধবার

চট্টগ্রাম টেস্ট ড্র হয়েছে ব্যাটসম্যানদের কল্যাণেই। বোলারদের নির্বিষ বোলিং শ্রীলংকার ব্যাটসম্যানদের টুটি চেপে ধরতে পারে নি। তাই ঢাকা টেস্টে বোলিংকে আরও শানিত করে স্কোয়াড সাজানোর দাবি এখন নিযুত ক্রিকেট ভক্তের মুখে।

চার বছর পর দলে ফেরানো হলেও অভিজ্ঞ আবদুর রাজ্জাককে প্রথম টেস্টে স্কোয়াডে জায়গা দেওয়া হয়নি। এটি নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টকে সমালোচনা শুনতে হয়েছে। সমালোচনার জায়গা বাদ দিলেও সাধারণ হিসেবেও রাজ্জাক বিবেচনায় আসে। অভিজ্ঞ বা হাতি স্পিনার সাকিবের জায়গায় রাজ্জাকই হতে পারেন একমাত্র বিকল্প। তাই দ্বিতীয় টেস্টে রাজ্জাকের একাদশে ফেরাটা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। কারণ ওই জায়গায় যাকে খেলানো হয়েছে সেই সানজামুল দুই ইনিংসেই বোলিংয়ে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন।

প্রথম টেস্ট শেষ হবার ঘন্টা দুয়েক পর স্কোয়াডে পরিবর্তনের একটা সুস্পষ্ট আভাস মিলছে। ১৬ জনের দল ছেঁটে ১৫ ‘তে নামিয়ে আনা হয়েছে। প্রথম টেস্টের ১৬ জন থেকে দু`জন বাদ পড়েছেন।

এর মধ্যে স্পিনারের কোটায় টেস্ট অভিষেক হয়ে যাওয়া বাঁহাতি সানজামুল ইসলাম বাদ পড়েছেন। বাদ পড়েছেন চট্টগ্রাম টেস্টে না খেলা পেসার রুবেল হোসেন। তার বিপরীতে দলে ঢুকেছেন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান।

সাত পুরোদস্তুর ব্যাটসম্যান, তিন স্পিনার ও এক পেসার নীতি যদি ঢাকা টেস্টেও বহাল থাকে তবে ব্যাটিংয়ে সাত নম্বর পজিশনটাও ভাবনার খোরাক জোগায়। চট্টগ্রাম টেস্টে ৭ নম্বর পজিশনে ব্যাট করেছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। কিন্তু তিনি নিজেকে মেলে ধরতে ব্যর্থ হন দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা মোসাদ্দেক। তার শরীরী ভাষাও ছিল দুর্বল। অনেকেই মনে করছেন এই পরিশনে সাব্বির এলে দল আরও শক্তিশালী হবে। কারণ সাব্বির দীর্ঘদিন ধরে দলে পারফর্ম করে আসছেন। সেই বিবেচনায়-ই হয়তো সাব্বিরকে দলে ঢোকানো হয়েছে।  

শেরে বাংলায় দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে লঙ্কানদের বিপক্ষে টাইগারদের লাইন আপ কেমন হবে? প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু আর টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের তকমায় বাংলাদেশ দলের হেড কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনই সবচেয়ে ভালো বলতে পারবেন। তবে তারা একাদশ সম্পর্কে কোনো রকম পূর্ব ধারণা দিতে নারাজ।

স্কোয়াড থেকে পেসার রুবেল হোসেনকে বাদ দেওয়ায় ১৫ জনের দলে পেসার এখন মোটে দু`জন- মোস্তাফিজুর রহমান আর কামরুল ইসলাম রাব্বি। কাজেই একাদশে হয় এক পেসার, না হয় দুই পেসার থাকবেন; বিকল্প ভাবনার সুযোগ নেই। এখন দেখার বিষয়, স্পিনারের কোটায় ঢাকাতেও তিনজনই খেলেন কিনা। আজ মঙ্গলবার মধ্যাহ্নে প্র্যাকটিসেই দ্বিতীয় টেস্টের সম্ভাব্য একাদশ চূড়ান্ত হয়ে যাবে। সেই পর‌্যন্ত অপেক্ষা করতেই হচ্ছে।

/ এআর /