ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৯ ১৪৩১

মাশরাফিকে ‘বাঁচানোর’ পেছনে যার ভুমিকা বেশি

প্রকাশিত : ০৯:৩৪ পিএম, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৬:০১ পিএম, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ বুধবার

মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে ডেভিড ইয়াং এর সম্পর্ক অনেক পুরনো। সেই ২০০৩ সালে ডান হাঁটুর চোট পাওয়ার পরই তার কাছে ছুটে যান। এরপর আরো ছয়বার অস্ট্রেলিয়ান শল্যবিদের ছুরির নিচে যান মাশরাফি। তাই তাকে তিনি আদর করে বলেন ‘পাগলা’। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে এই বিখ্যাত অস্ট্রেলিয়ান শল্যবিদের আত্মার সম্পর্ক। মাশরাফির সঙ্গে সম্পর্কটা আরও গভীর। 

বারবার চোটে পড়ে হুমকির মুখে পড়ে যাওয়া মাশরাফির ক্যারিয়ারটা বেঁচে গেছে ইয়াংয়ের চিকিৎসাতেই—এমনটা বললে বোধ হয় খুব ভুল বলা হবে না। বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটির একটি সম্মেলনে ঢাকায় এসেছেন। সফরের ফাঁকেই বিসিবিতে আজ ঢুঁ মেরে গেলেন তিনি।

বিসিবি একাডেমি ভবনে দেখা হলো তার প্রিয় ‘রোগী’ মাশরাফির সঙ্গেও! প্রিয় চিকিৎসককে কাছে পেয়ে মাশরাফি আরেকবার হাঁটু জোড়া দেখিয়ে নিলেন। ইয়াংয়ের কাছে তার কত ঋণ, অধিনায়কের কথাতেই বোঝা যাবে, ‘আমার প্রায় সাতটি অস্ত্রোপচারেই সে হাত দিয়েছে। এখনো খেলছি ওপরে আল্লাহ আছেন বলেই। আর উছিলা হিসেবে তিনি আছে। সে আমার সবকিছুই করেছে। এখন এমনই অবস্থা হাঁটুর বিষয়ে অন্য কারও কাছে গেলে তেমন আত্মবিশ্বাস পাই না! শুধু আমি নয়, আমাদের যারা হাঁটু ও পিঠের চোটের অস্ত্রোপচার করেছে, সবই ওর কাছে। বাংলাদেশ ক্রিকেটে নেপথ্যের বন্ধু সে।’

মাশরাফির প্রতি তার মুগ্ধতা অনেক আগ থেকেই। নতুন করে ইয়াং বললেন, ‘মাশরাফি পেশাদার অ্যাথলেট, খেলা ও দেশের প্রতি তার শতভাগ নিবেদন। তার ক্যারিয়ারে একটু হলেও জড়াতে পেরে আমি খুশি। তার যে বিষয়টি সবচেয়ে ভালো লাগে, অসাধারণ মানুষ, অনেক বড় হৃদয়ের মানুষ। বাংলাদেশ ও খেলার জন্য সে সত্যিকারের এক দূত।’

চোটে পড়ে ২০০৯ সালের জুলাই থেকে টেস্ট ক্রিকেটের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে মাশরাফির। টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে চালিয়ে গেলেও বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে আর খেলতে পারবেন কি না সন্দেহ। মাশরাফি আর খেলতে পারবে কি না এ সম্পর্কে ইয়াং বলেন, হ্যাঁ, ‘প্রতিটি দলের নেতার দরকার। সে সব সময়ই নেতা। টেস্ট দলে তার মতো খেলোয়াড়ের জায়গা থাকে।’ 

এসি/