এখনও বইমেলায় শীর্ষে হুমায়ূন
প্রকাশিত : ০৪:৪৩ পিএম, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ০৬:৫৬ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সোমবার
অমর একুশে বইমেলা বাঙালির প্রাণের উৎসব। বাঙালির দীর্ঘ দিন থেকে চলে আসা সংস্কৃতির ধারক-বাহক। একসঙ্গে উৎসব আনন্দ আর জ্ঞানের সমন্বয় আর কোনো আয়োজনে বুঝি হয় না! বইমেলা যেনো লেখক-পাঠক ও প্রকাশকদের ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে গেছে। প্রতিবারের মতো এবারও মেলাতে সবার আকর্ষণ হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে।
নন্দিত এই কথা সাহিত্যিক আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে গেলেও তার সৃষ্টিশীল কাজের মধ্যে তিনি অমর হয়ে আছেন পাঠকদের হৃদয়ে। তাইতো বই মেলা তেমন না জমলেও হুমায়ূন আহমেদ বই যে স্টলে শোভা পেয়েছে সেখানেই সবোর্চ্চ ভিড় লক্ষ করা গেছে। গত বছরও মেলাতে তার বই ছিলো বিক্রয়ে শীর্ষে।
আজ মেলার ৭ম দিন। বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দি উদ্যান- মেলার এই দুই অংশের গেটগুলোর সামনে দর্শনার্থীদের বেশ ভীড় দেখা গেছে। মেলায় বিভিন্ন স্টল ঘুরে নিজেদের পছন্দ মতো বই খুজে নিচ্ছেন ক্রেতারা।
পাঠকের পছন্দের তালিকায় অনেক লেখকের বই থাকলেও শীর্ষ স্থানটি ধরে রেখেছেন হুমায়ূন আহমেদ। হুমায়ূন নেই কিন্তু তার জনপ্রিয়তায় বিন্দুমাত্র চিড় ধরেনি। যা স্টলগুলোতে হুমায়ূন পাঠকদের উৎসাহ দেখলেই বোঝা যায়।
মেলাতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী আসাদ একুশে টিভি অনলাইনকে বলেন, ‘কেনো যেনো হুমায়ূন স্যারের বই না পড়লে শূণ্য শূণ্য লাগে। ইতোমধ্যে স্যারের লেখা ৫০ থেকে ৬০ বই পড়েছি। তিনি অতি সাধারণভাবে সামাজের বিভিন্নচিত্র তার বইয়ে উপস্থাপন করে গেছেন।’
এবারের মেলাতে হুমায়ূন আহমেদ এর ১১০টি বই নিয়ে এসেছে অন্যপ্রকাশ। অন্যপ্রকাশের বিক্রয় প্রতিনিধি টিপু সুলতান একুশে টিভি অনলাইনকে বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও পাঠকের চাহিদার কথা মাথায় রেখে মেলাতে ১১০টি বই নিয়ে আসা হয়েছে। হুমায়ূন আহমেদের ‘বাদশা নামদার’, ‘দেয়াল’, ‘চলে যায় বসন্তের দিন’, ‘জোছনা ও জননীর গল্প’, ‘হিমু -১০’, ‘মিসির আলী-১০’, ‘শঙ্খনীল কারাগার’, ‘যদিও সন্ধ্যা’, ‘হিমু রিমান্ডে’, ‘কাঠ পেন্সিল’, ‘নীল মানুষ’, ‘আজ হিমুর বিয়ে’, ‘কুটু মিয়া’, ‘দ্বিতীয় মানব’, ‘নন্দিত নরকে’ বইগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে হুমায়ূনের ‘দেয়াল’ ও সব শেষে প্রকাশিত বই ‘নিউইয়র্কে ও নীল আকাশ’ বই দুটি।
এই স্টলে ‘দেয়াল’ বইটির পাতা উল্টিয়ে দেখছিলেন দুই বন্ধু তারেক ও শাহজাহান। তারা বললেন, হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের সঙ্গে অন্য বইয়ের তুলনা হয় না। এই বই সহজে মানুষকে টানে। আপন করে নেয়।
অন্যদিকে কাকলী প্রকাশনীর কর্মকর্তা নাছির আহমেদ সেলিম জানান, হূমায়ূন আহমেদের বই ছাড়াও তার স্টলে বেশি বিক্রি হচ্ছে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের বই ‘আমার বন্ধু রাশেদ’। তবে হুমায়ূন আহমেদর বই বেশি বিক্রি হচ্ছে।
হুমায়ূন আহমেদ বেচেঁ থাকলে এবারের বই মেলাতে নতুন কি বই আসতো জানতে চাইলে তার দ্বিতীয় স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন একুশে টিভি অনলাইনকে বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদ যেসব বই লিখেছেন তার অধিকাংশ নাম রবি ঠাকুর ও কাজী নজরুলের বিভিন্ন গল্প বা উপন্যাস থেকে নেওয়া। তিনি যদি বেচেঁ থাকতেন আরও অনেক গল্পের বই লিখতন। অবশ্যই নিজের লেখা কোনো গান বা গল্পের বইয়ের থেকে নতুর বইয়ের নাম দিতেন। যেমন, যদি মন কাদে চলে এস এ বর্ষায়, আজ এ বাদর দিনে।’
এসএ/