ঢাকা, শুক্রবার   ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৫ ১৪৩১

যৌতুক হিসেবে স্ত্রী’র কিডনী নিল স্বামী

প্রকাশিত : ১১:০৮ এএম, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ বৃহস্পতিবার

যৌতুক না পেয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে নিজের কিডনী চুরির অভিযোগ করেছেন এক নারী। ভারতের পশ্চিম বঙ্গের ঐ নারী দাবি করেন যে, যৌতুক চেয়ে না পেয়ে রিতা সরকারের কিডনী তার অজ্ঞাতেই বের করে বিক্রি করে দেন তার স্বামী ও দেবর।

ভুক্তভোগী ঐ নারী জানান, দুই বছর আগে তলপেটে ব্যথা অনুভব করছিলেন তিনি। এরপর তার স্বামী তাকে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অ্যাপেনডিসাইটিস এর অপারেশন করা হয়। এরপর ২০১৭ সালের শেষের দিকে তিনি আবারও অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিলে মেডিকেল প্রতিবেদনে জানা যায় তার একটি কিডনী নেই।

ভারতে ১৯৬১ সালে আইন করে যৌতুক নেওয়া অবৈধ ঘোষণা করা হলেও এখনও সেখানে হরহামেশাই যৌতুকের অভিযোগ পাওয়া যায়। রীতা সরকার স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, যৌতুকের জন্য বেশ কয়েক বছর যাবতই তার স্বামী ও স্বামীর পরিবারের লোকজন তার ওপর নির্যাতন করে আসছিল।

ভারতের হিন্দুস্থান টাইমসকে তিনি বলেন, “ আমার স্বামী আমাকে কলকাতার একটি প্রাইভেট নার্সিং হোমে নিয়ে যান। আমার স্বামী ও সেখানকার লোকেরা আমাকে বলে যে, অ্যাপেনডিসাইটিসের অস্ত্রোপচার পর আমি সুস্থ হয়ে যাব। তবে এই অস্ত্রোপচারের কথা কাউকে জানাতে নিষেধ করে আমার স্বামী। এখন আমি বুঝতেছি যে কেন তারা আমাকে চুপ থাকতে বলেন”।

“আমি আর আমার পরিবার তাকে যৌতুকের টাকা দিতে পারিনি বলেই আমার কিডনী নিয়ে তারা তা বিক্রি করে দেয়”।

এ বিষয়ে থানায় একটি মামলাও দায়ের করেছে ভুক্তভোগী রীতা সরকার। কলকাতা পুলিশের পরিদর্শক উদয় শংকর ঘোষ দ্য টেলিগ্রাফকে বলেন, “আমরা সন্দেহ করছি যে এই ঘটনার পিছনে একটি সংঘবদ্ধ চক্র কাজ করছে। মানব অঙ্গ ও টিস্যু প্রতিস্থাপন আইনের আওতায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। এর পাশাপাশি তিন জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা এবং যৌতুকের জন্য নির্যাতনের ধারাও এতে যুক্ত করা হয়েছে”।

তবে মামলার আসামি ব্যক্তিদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

সূত্রঃ বিবিসি

//এস এইচ এস//