বর্ডার হাট বিষয়ে বাংলাদেশ-ভারত সচিবদের বৈঠক
প্রকাশিত : ১১:১৪ পিএম, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ বৃহস্পতিবার
ঢাকায় শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-ভারতের বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের দুই দিনব্যাপী বৈঠক। বৈঠকে সীমান্তে বর্ডার হাট কার্যকর ও দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনাসহ অমীমাংসিত ইস্যুর দ্রুত সমাধানের বিষয় গুরুত্ব পাচ্ছে। গতকাল বুধবার শুরু হওয়া এ বৈঠক শেষ হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার।
সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাণিজ্য সচিব শুভাশিষ বসু, ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন দেশটির বাণিজ্য সচিব রীতা তিওতিয়ার।
বাণিজ্য সচিব শুভাশিষ বসু এ প্রসঙ্গে বলেন, বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে হলে বাংলাদেশি পণ্যের রফতানি বাড়াতে হবে। একইসঙ্গে যেসব বিষয়ে চুক্তি রয়েছে, তা বাস্তবায়নে বেশি জোর দেওয়া হবে। এরই মধ্যে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক চুক্তি করা হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে বাণিজ্য চুক্তি পুরোপুরি কার্যকর করা হবে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা, শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূর করে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক অধিকতর স্বচ্ছ, সুদৃঢ়, সহজ ও নির্বিঘ্ন করতে বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের সভা একবছর পরপর নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়। বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের সর্বশেষ সভাটি ২০১৬ সালের ১৫ ও ১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছিল ভারতের নয়া দিল্লিতে।
জানা গেছে, বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের এ সভায় আগের সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে। যে বিষয়গুলোর ওপর আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে, সেগুলো হচ্ছে— বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে অবস্থিত স্থল শুল্ক বন্দরগুলোর অবকাঠামো উন্নয়ন ও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো; বর্ডার হাটের কার্যক্রম পর্যালোচনা ও নতুন বর্ডার হাট স্থাপন; বাংলাদেশের বিএসটিআইয়ের সার্টিফিকেটের স্বীকৃতি; ভারত কর্তৃক কিছু বাংলাদেশি রফতানি পণ্যের ওপর অ্যান্টিডাম্পিং শুল্ক আরোপ; ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনও দেশে বাংলাদেশি পণ্য রফতানি; পণ্য আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত বাণিজ্য বিরোধ ও জটিলতা দূর করা; স্থল শুল্ক বন্দরের মাধ্যমে আরও বেশি পণ্য আমদানির সুযোগ দেওয়া; সড়ক ও রেল পথে পণ্য পরিবহন সুবিধা সম্প্রসারণ করা; বাংলাদেশে ভারতীয় চিনি রফতানি সংক্রান্ত ভারতীয় প্রস্তাব প্রভৃতি।
সূত্র জানায়, বৈঠকে বর্ডার হাট ইস্যুটি গুরুত্ব দিয়ে আলোচিত হচ্ছে। বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠক সামনে রেখে দুই দেশের পক্ষ থেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে কৌশল নির্ধারণ করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সীমান্ত এলাকায় বৈধ বাণিজ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে ২২টি বর্ডার হাট চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে দুই দেশের। হাটে বেচাকেনার জন্য পণ্য সংখ্যা ৪৭ থেকে বাড়িয়ে ৬০টি করা হতে পারে।
আরকে/টিকে