ঢাকা, শুক্রবার   ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৫ ১৪৩১

তিন সংকটে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চান মোদি

প্রকাশিত : ১০:১৫ এএম, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ শুক্রবার

ভারতের অন্যতম বৃহত্তম বাজার মালদ্বীপে সম্প্রতি চীন আধিপত্য দেখাতে শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, দেশটি মালদ্বীপের সঙ্গে ওয়ান ওয়ে বেল্ট নামের একটি প্রকল্পও শুরু করেছে। এতে করে ভারত দেশটিতে কোণঠাসা হয়ে পড়ার শঙ্কায় ভোগছে। অন্যদিকে পাকিস্তানকে রুখতে আফগানিস্তানে অস্ত্র-গোলাবারুদ ও অর্থ সরবরাহ বাড়ানোসহ মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

এদিকে ভারতের তিন শর্তের বিপরীতে উত্তর কোরিয়াকে দমাতে ভারতের সার্বিক সহায়তা চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ফোনালাপে উভয় নেতা পরস্পরের সহযোগিতা চান।

এসময় মোদি মালদ্বীপের রাজনৈতিক সংকট ও দেশটিতে চীনের হস্তক্ষেপ, আফগান যুদ্ধ ও মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন। এদিকে চীন ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে একমত যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা দিয়ে এশিয়ায় চীনের আধিপত্য খর্ব করতে চায়। এরই অংশ হিসেবে ভারতকে পাশে টানছে যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে বিশ্বের অন্যতম নান্দনিক অবকাশযাপন কেন্দ্র খ্যাত মালদ্বীপ নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। চীনের ওয়ান ওয়ে বেল্ট প্রকল্পে মালদ্বীপের সাক্ষরের পর ভারতে উদ্বেগ দেখা দেয়। তাঁদের আশঙ্কা, ওয়ান ওয়ে বেল্ট বাস্তবায়ন হলে শুধু মালদ্বীপ নয় বরং এশিয়ার প্রতিটি দেশের বাজারই চীনের দখলে চলে যাবে। তাই চীনের এ প্রকল্প থামাতে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চেয়েছেন মোদি।

এদিকে মালদ্বীপের অচলবস্থা নিরসনে ভারত চীন, পাকিস্তান ও সৌদি আরবে কূটনীতিক প্রেরণ করা হয়েছে বলে ট্রাম্পকে জানান মোদি। তবে দুই নেতাই মালদ্বীপে গণতন্ত্র সমুন্নত রাখার ওপর জোর দেন।

এদিকে আফগানিস্তানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দুই দেশই একমত হয়েছেন। এ ছাড়া তালেবান ও হক্কানি গোষ্ঠীসহ জঙ্গিদের তাড়াতে ব্যর্থ হওয়ায় পাকিস্তানে সব ধরণের সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ভারত এতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশংসা করেছে বলে জানা গেছে। এদিকে পাকিস্তানকে আরও চাপে রাখতে এবার আফগানিস্তানে সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা বাড়িয়েছে ভারত।

ওই আলোচনায় রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও কথা বলেন দুই ক্ষমতাধর নেতা। এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানায়, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তায় ও সংকট সমাধানে বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন মোদি ও ট্রাম্প।

এদিকে ভারতের উদ্বেগের পরই যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে ভারতের সহযোগিতা চেয়েছেন। পিয়ংইয়ংকে চাপে রাখতে যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে কূটনৈতিক চাল চেলে যাচ্ছে বলেও ভারতকে আশ্বস্ত করেন মোদী। তবে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সব ধরণের সম্পর্ক ছিন্নে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানান ট্রাম্প। এদিকে মোদী হোয়াইটহাউজ প্রধানকে জানান, উত্তর কোরিয়া ও দিল্লীর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকলেও খাদ্য ও ওষুধ ছাড়া অন্যসব পণ্য আমদানি-রফতানি নিষিদ্ধ রয়েছে।

সূত্র: রয়টার্স
এমজে/