ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৯ ১৪৩১

২৩ রান তুলতেই নেই ৬ উইকেট

প্রকাশিত : ০২:৩৫ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ১০:২৫ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ শনিবার

মিরপুর যেন উইকেট বিলিয়ে দেওয়ার রঙ্গমঞ্চ! বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের দিকে তাকালে এই কথার সঙ্গে দ্বিমত করার জো নেই। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে রীতিমত উইকেট বিসর্জনের অদ্ভূত প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেন ব্যাটসম্যানরা! ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছে প্যাভিলিয়নে পরম আকর্ষণীয় কিছু একটা রেখে তারা ক্রিজে গিয়েছেন। দ্রুত ফিরতে পারলেই বাঁচা! না হয় শেষ ২৩ রান তুলতে ৬ উইকেটে খুঁইয়ে বসবে কেন? শেষ ছয় ব্যাটসম্যানের কেউ দুই অংক ছুঁতে পারে নি।

একটু প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন মমিনুল ও মুশফিক। এই দুজন ছাড়া কেউ দাঁড়াতেই পারেননি। কে কত দ্রুত আউট হতে পারবেন সেই তাড়াই যেন ছিল ব্যাটসম্যানদের মধ্যে।

এছাড়া আউটগুলো দেখতে বুঝা যায় যে, কতটা আনকোরা শর্ট খেলেছেন টাইগার ব্যাটসম্যানরা। মনে হয়েছে শ্রীলংকা বোলাররা তাদের কাছে আনপ্লেয়েবল।  

বিশেষ করে লিটন দাস, মাহমুদুল্লাহ, সাব্বির, মিরাজ, আবদুর রাজ্জাকরা কেউ-ই চার ওভারের বেশি ক্রিজে থাকতে পারেননি। চার ব্যাটসম্যান ছাড়া বাদবাকি সবার স্কোর এক অংকের কোটায়। দুই অংক ছোঁয়া চার জনের মধ্যে দুজনের রান বিশের নিচে। তারা হলেন ইমরুল ১৭ ও লিটন ১২। প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে আউট হয়েছেন মমিনুল ৩৩ ও মুশফিক ২৫। এছাড়া শেষ ৬ ব্যাটসম্যানের কেউ দুই অংশ ছুঁতে পারেনি।

ব্যাটসম্যানদের তাড়াহুঁড়োয় একশ’র পর ২৩ রান তুলতেই হারায় ৬ উইকেট। এই ছয় উইকেটের মধ্যে সবাই যে বোলার তা কিন্তু নয়। খেলার ২০ ওভার পর ব্যর্থতার মিছিলে যোগ দেন মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ, সাব্বির, মেহেদী মিরাজের মত ব্যাটসম্যানও।

আরও সুনির্দিষ্ট করে বলতে গেলে ৪ রান তুলতেই হারায় চার উইকেট। দলীয় একশ’ রানে আউট হন মাহমুদুল্লাহ। ১০২ রানের মাথায় দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তারা হলেন মুশফিক ও সাব্বির। এক বল খেলে দ্বিতীয় বলেই উইকেট বিসর্জন দেন সাব্বির। দলীয় ১০৪ রানে আউট হন আবদুর রাজ্জাক। অর্থাৎ ১০০ থেকে ১০৪ রানে পড়ে ৪ উইকেট।

এরপর একে একে আউট হন মিরাজ ও তাইজুল।

সূত্র : ইএসপিএন ক্রিকইনফো।

/ এআর /