ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৯ ১৪৩১

১০ ওভারও খেলতে পারলেন না ৭ ব্যাটসম্যান

প্রকাশিত : ০৩:০৮ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ শনিবার

মিরপুর যেন উইকেট বিলিয়ে দেওয়ার রঙ্গমঞ্চ! বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের দিকে তাকালে এই কথার সঙ্গে দ্বিমত করার জো নেই। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে রীতিমত উইকেট বিসর্জনের অদ্ভূত খেলায় মেতে উঠেন ব্যাটসম্যানরা!

ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছে প্যাভিলিয়নে পরম আকর্ষণীয় কিছু একটা রেখে তারা ক্রিজে গিয়েছেন। দ্রুত ফিরতে পারলেই বাঁচা! না হয় ৯ ওভার খেলতে ৭ উইকেট খুঁইয়ে বসবে কেন বাংলাদেশ?

একটু প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন মমিনুল ও মুশফিক। এই দু’জন ছাড়া দ্বিতীয় ইনিংসে কেউ দাঁড়াতেই পারেননি। কে কত দ্রুত আউট হতে পারবেন সেই প্রতিযোগিতাই যেন ছিল ব্যাটসম্যানদের মধ্যে।

লিটন দাস, মাহমুদুল্লাহ, সাব্বির, মিরাজ, আবদুর রাজ্জাকরা কেউ-ই চার ওভারের বেশি ক্রিজে থাকতে পারেননি। চার ব্যাটসম্যান ছাড়া বাদবাকি সবার স্কোর এক অংকের কোটায়।

২০ দশমিক ৫ ওভারে চতুর্থ উইকেটের পতন হয়। এসময় দলীয় ৭৮ রানে লিটন আউট হয়ে যাওয়ার পরের উইকেটগুলো যেন বালির বাধে পরিণত হয়। ২০ ওভার ৫ বলে যেখানে চতুর্থ উইকেটের পতন সেখানে ২৯ ওভার ৩ বলে সবাই আউট। কী অদ্ভূত টেস্ট ক্রিকেট! খেলা দেখে অনেক দর্শক স্টেডিয়াম থেকে বলছিলেন, টেস্ট না খেলে টি টুয়েন্টি স্টাইলে খেললেই তো হয়। অন্তত কিছু রান তো হতো।

২০ দশমিক ৫ ওভারের পর সবচেয়ে বেশি টেকসই হয় মাহমুদুল্লাহর জুটি। সেটি কত জানেন। মাত্র ১৮ বল। ২৪ দশমিক ১ বলে মাহমুদুল্লাহ আউট হলে বাকী ব্যাটসম্যানদের ক্রিজে স্থায়িত্ব হয় ৫-৬ বল করে। পরাজয়ের ক্ষণ গননা শুরু হয় তখন থেকেই।

৬ষ্ঠ উইকেট পড়ে ২৬তম ওভারের শেষ বলে। সেই উইকেটটি ছিলেন মুশফিক। এর মাত্র এক বল পরেই আউট হন সাব্বির ১ রানে। এর তিন বল পরেই আউট হন আবদুর রাজ্জাক।

২৮ ওভার চার বলে নবম উইকেটের পতন হয়। তখন বাংলাদেশের পরাজয় মেনে নেওয়ার আনুষ্ঠানিকতা বাকী। ২৯ ওভার তিন বলে তাইজুল আউট হলে মুস্তাফিজ আর কোনো সঙ্গী না পেয়ে হারের লজ্জা মাথায় নিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন অপরাজিত ব্যাটসম্যান হিসেবে।

 শ্রীলংকা ম্যাচ জিতে ২১৫ রানে। ম্যান অব দ্যা ম্যাচ ও টুর্নামেন্ট সেরা হন রোশান সিলভা।

সূত্র : ইএসপিএন ক্রিকইনফো।

/ এআর /