ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

পাকিস্তানি মানবাধিকারকর্মী আসমা জাহাঙ্গীরের জীবনাবসান

প্রকাশিত : ০৪:৪২ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ রবিবার

চিরতরে স্তব্ধ হয়ে গেল মানবতা ও ন্যায়ের পক্ষে সোচ্চার এক পাকিস্তানি কণ্ঠস্বর আসমা জাহাঙ্গীর। পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রোববার লাহোরে স্তব্ধ হয়ে যায় তার প্রাণ-স্পন্দন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান সেনাসেনাবাহিনীর ভূমিকার প্রশ্নেও সরব ছিলেন আসমা। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অসামান্য অবদান রেখেছিলেন তার বাবা গুলাম জিলানি। ২০১৩ সালে বাবাকে দেওয়া বাংলাদেশ সরকারের স্বীকৃতি গ্রহণ করতে বাংলাদেশে এসেছিলেন এই প্রতিবাদী নারী।

পাকিস্তানভিত্তিক মানবাধিকার আইনজীবী হিসেবে কাজ করতেন আসমা জাহাঙ্গীর। দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বারের প্রেসিডেন্টও ছিলেন তিনি। পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, দীর্ঘদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে ভুগছিলেন। বেশ কয়েক বছর ধরেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। হঠাৎ করেই বেশি অসুস্থ বোধ করার পর শনিবার রাতে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এক পর্যায়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

বিশ্বব্যাংক ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের হয়ে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বিচারিক সংস্কারের পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন আসমা জাহাঙ্গীর। জাতিসংঘের বিশেষ দূত হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। পাকিস্তানের উইমেন একশন ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যও ছিলেন ৬৬ বছর বয়সী এই মানবাধিকারকর্মী।

আসমা জাহাঙ্গীরের বাবা সরকারি চারকি জীবন শেষ করে যোগ দিয়েছিলেন রাজনীতিতে। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর গণহত্যা চালানোর সমালোচনা করে জেলও খেটেছেন তিনি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে এই অসামান্য ভূমিকার কারণে ২০১৩ সালে তাকে মৈত্রী সম্মাননা দেওয়া হয়। সেবার পাঁচ পাকিস্তানিকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়। বাবার পক্ষ থেকে সেই পুরস্কার গ্রহণ করতে আসেন আসমা জাহাঙ্গীর।

মানবাধিকারকর্মী আসমার মরদেহ লাহোরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। তবে তার শেষকৃত্যের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি। বিদেশ থেকে তার সন্তানেরা দেশে ফিরে আসলে তাকে সমাহিত করা হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে।

তথ্যসূত্র: দ্য ডন।

এসএইচ/