শাকিবের সঙ্গে কোনো বৈঠকই হলো না অপুর
প্রকাশিত : ১১:৫৫ এএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সোমবার
গতবছর শোবিজ অঙ্গন সরগম ছিলো শাকিব-অপুর সংবাদে। চলতি বছরেও আলোচিত এই জুটিই দখল করে আছেন মিডিয়ার একটি বড় অংশ। তাদের নিয়ে চর্চা যেনো কোনভাবেই শেষ হচ্ছে না। তবে মিডিয়ার পাতা জুড়ে থাকলেও চলতি মাসেই শেষ হচ্ছে এই জুটির সাংসারিক বন্ধন।
সকলেরই জানা আছে যে- ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) ডিভোর্সের আবেদন করেছিলেন শাকিব। নিয়মানুযায়ী সিটি করপোরেশন বিষয়টি সুরাহার উদ্যোগ নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ জানুয়ারি ডিএনসিসির অঞ্চল-৩ এর অফিসে তাদের তালাকের বিষয়টি নিয়ে শুনানি হওয়ার তারিখ নির্ধারণ হয়। তবে ওই বৈঠকে অপু বিশ্বাস গেলেও সেদিন উপস্থিত ছিলেন না শাকিব খান। এরপর ডিএনসিসি সালিশের জন্য ১২ ফেব্রুয়ারি নতুন দিন নির্ধারণ করে। আজ সোমবার সেই দিনটি। কিন্তু এবারও বৈঠকে হাজির থাকার কোনই সম্ভাবনা নেই শাকিব খানের। কারণ বর্তমানে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় ‘সুপার হিরো’ সিনেমার শুটিংয়ে ব্যস্ত।
সাধারণত কোনো বিষয়ে সমঝোতায় আসতে হলে সালিশ বৈঠকে দু’পক্ষকেই উপস্থিত থাকতে হয়। কিন্তু শাকিব খান ‘থাকবেন না’ বলেই এবারও সেই সুযোগ থাকছে না।
বিষয়টি নিয়ে শাকিব অবশ্য আগে থেকেই তার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিছেন। শাকিব গণমাধ্যমকে বলেছেন- ‘আমি চাই, এটা শেষ হয়ে যাক।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য উভয় পক্ষের মধ্যে শ্রদ্ধা থাকতে হবে। আমি মনে করি, তা এখন আর অবশিষ্ট নেই।’
অপরদিকে একমাত্র ছেলে আব্রামের বিষয়ে ঢালিউডের এই নায়ক বলেন, ‘আব্রামের ভালোর জন্য আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। ওকে ভালো স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার ব্যবস্থা করা, ওকে ভালো রাখা, ওকে প্রতিষ্ঠিত করার ব্যাপারে সব ধরনের সাপোর্ট দেব।’
উল্লেখ্য, গত বছরের ২২ নভেম্বর অপুকে ডিভোর্স লেটার পাঠান শাকিব। ডিএনসিসির পারিবারিক আদালত সূত্র বলছে, কোনো পক্ষ তালাকের আবেদন করলে আদালতের কাজ হচ্ছে ৯০ দিনের মধ্যে ডেকে সমঝোতার চেষ্টা করা। এরপরও যদি তারা কোনো সমঝোতায় না পৌঁছায় তাহলে ৯০ দিন পর তালাক কার্যকর হয়ে যায়। আর সেই সময়টা শেষ হচ্ছে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি।
এসএ/