ক্যান্সার প্রতিরোধ করে লাল পেঁয়াজ: গবেষণা
প্রকাশিত : ০১:৪০ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সোমবার
ক্যান্সার নিরাময় এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক যে সবজিগুলো রয়েছে সেগুলো হলো ব্রোকলি, স্পিনাক ও গাজর। এবার এই তালিকায় নতুন আরেকটি সবজি যুক্ত হলো। এটি হলো লাল পেঁয়াজ। নতুন এক গবেষণা এমনটাই বলছে। লাল পেঁয়াজ ফ্লেভার ও রঙের দিক থেকে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। এটিতে এমন উপাদান আছে, যা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। শুধু ক্যান্সার নয় ডায়াবেটিস এবং হার্টের মতো রোগেরও প্রতিরোধ করে লাল পেঁয়াজ। আর বিস্মিত হওয়ার মতো একটি ব্যাপার হচ্ছে এই পেঁয়াজের ঝাঁঝে আপনার চোখে পানি আসবে না।
এতে বলা হয়েছে, কোয়েরসেটিন, অ্যালিসিন এবং ক্রোমিয়াম নামের উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধ করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। এই পেঁয়াজে থাকা পুষ্টি উপাদান ব্যাকটেরিয়ারোধী, ছত্রাকরোধী এবং সংক্রমণরোধী ভুমিকা পালন করে সার্বিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে।
লাল পেঁয়াজ খুব কম গ্লিসেমিক ইনডেক্স (জিআই) সমৃদ্ধ সবজি। তাই শক্তি রিলিজের গতি ধীর করতে এবং রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা জোরদার করতে এটি সহায়ক।
ক্যান্সার কোষ দমন করে
বেশ কয়েকটি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, লাল পেঁয়াজে থাকা উচ্চ মাত্রার কোয়েরসেটিন মানবদেহকে বাকযন্ত্র এবং অন্ত্রের ক্যান্সার থেকে মুক্ত রাখে। এছাড়া প্রজনন সংক্রান্ত ক্যান্সারও প্রতিরোধ করে এই পেঁয়াজ।
রক্তে সুগারের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে
গবেষণায় দেখা গেছে, লাল পেঁয়াজে আছে নিম্ন গ্লিসেমিক ইনডেক্স (জিআই), ০ থেকে ১০০ এর স্কেলে ১০ মাত্রার জিআই আছে। এই পেঁয়াজের এই নিম্ন মাত্রার জিআই শক্তি রিলিজের গতি ধীর করতে এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা জোরদার করতে সহায়ক হিসেবে কাজ করে। এছাড়া এই নিম্ন মাত্রার জিআই রক্তচাপের ভারসাম্য রক্ষা করা ছাড়াও রক্তপ্রবাহ বাড়ানোর ক্ষেত্রে সহায়ক ভুমিকা পালন করে।
দেহের প্রাকৃতিক বিষমুক্তকরন প্রক্রিয়া জোরদার করে
রক্তে সিসার মতো ভারি বিষাক্ত পদার্থ জমে গেলে তা পরিষ্কার করা এবং দেহে থেকে বর্জ্য আকারে খাদ্যবিষ বের করে দেয় এতে থাকা উচ্চ মাত্রারা সালফার উপাদান। লাল পেঁয়াজ ক্যান্সারজনক কোষের উৎপাদন ও বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। এছাড়া প্রদাহ ও টিস্যুর ক্ষয় রোধ করে যা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
লাল পেঁয়াজে থাকা উপাদান সমুহ ব্যাকটেরিয়া, ছাত্রাক এবং ভাইরাল সংক্রমণ প্রতিরোধী হিসেবে কাজ করে। ফলে সার্বিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নয়ন ঘটে।
সূত্র: মিরর
একে// এআর