‘খালেদার রায়ের কপি পাওয়া যাবে কাল’
প্রকাশিত : ০৬:৫৯ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীটি মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়ার রায়ের কপি পাওয়া যাবে আগামীকাল বুধবার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও রায়ের কপি পাইনি। আদালত থেকে বলা হয়েছে আগামীকাল বুধবার রায়ের কপি সরবরাহ করা হবে। বিশেষ জজ আদালত-৫ থেকেই এই কপি দেওয়া হবে। ফলে আর আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে যেতে হবে না।’
রায়ের কপি হাতে পেলে খালেদা জিয়াকে দেওয়া সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবে বেগম জিয়ার আইনজীবীরা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামীকাল রায়ের কপি পাওয়ার পর পরশু দিন বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতে আপিল আবেদন করা হবে বলেও জানান সানাউল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, ‘আপিল করার পর যদি বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে কাস্টডি অ্যারেস্ট অথবা প্রোডাকশন অ্যারেস্ট দেওয়া হয় তখন সেগুলো প্রত্যাহার করার জন্যও আবেদন করব আমরা। তবে কারা কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছে যে, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কাস্টডি ওয়ারেন্ট বা প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট কিছুই নেই। এমন কোন ওয়ারেন্ট এখন পর্যন্ত তাদের কাছে আসেনি বলেও তারা জানায়।’
আপিল আবেদনের ওকালতনামায় খালেদা জিয়ার সাক্ষর আনতে কারাগারে গেলে কারা কর্তৃপক্ষ এসব তথ্য দেয় বলে জানান তিনি। তবে ওকালতনামাটি জেল সুপারের কাছে জমা রাখা হয়েছে।
এদিকে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন অভিযোগ করেছেন যে, সরকার তাদের ফরমায়েশ অনুযায়ী রায় দিতে বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করছে। আর এ কারণেই রায়ের কপি দিতে টালবাহানা করছে বলেও অভিযোগ করেন এই আইনজীবী। আজ সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভবনে এক অবস্থান কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, আপিলে যাওয়ার জন্য তারা জাজমেন্ট কপি দিচ্ছে না। বরং অন্য জায়গা থেকে মামলা এনে তাকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে এ মামলার অন্য আসামি তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ বাকি পাঁচজনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি তাদের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি রায়ের পর খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেওয়া হয়।
//এস এইচ এস// এআর