ভালোবাসা দিবস
বৃদ্ধাশ্রমের বারান্দায় চাই না আর অপেক্ষা
আল আমীন আজাদ
প্রকাশিত : ১১:৩০ এএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ বুধবার
বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের নাম শুনলেই আমাদের সমাজে একটা নেতিবাচক ধারণা সামনে চলে আসে। ধরে নেওয়া হয়, এই দিনে অল্প বয়সী ছেলে মেয়েরা ভালোবাসার লুকোচুরিতে মেতে উঠবে।
কিন্তু বিশ্ব ভালবাসা দিবসের মর্মার্থ শুধু তরুণ ছেলে মেয়েদের ভালবাসার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এই ভালোবাসা হতে পারে বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের। ভাই ও বোনের, বন্ধুর সঙ্গে বন্ধুর, স্রষ্টার সৃষ্টির প্রতি মানুষের ভালোবাসা প্রকাশের দিন হতে পারে ভালোবাসা দিবস।
ডিজিটাল এই সময়ে ক্রমশ আমরা দূরে সরে যাচ্ছি প্রিয়জন থেকে। যান্ত্রিকতা ও প্রযুক্তির ছোঁয়ায় প্রিয়জনদের সময় দেওয়া হয়ে ওঠে না। এমন হয় স্বামী-স্ত্রী দুজনেই পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চ্যাটিং কমেন্টিং এ ব্যস্ত। কিন্তু তাদের মধ্যে যে হৃদ্যতা থাকার কথা তা নেই।
একজন বাবা-মা কত আনন্দ, কষ্ট, দুশ্চিন্তা, ভালোবাসা, শ্রম, দিয়ে তার সন্তানদের বড় করেন। কতই না মমতা দিয়ে লালন করেন। ঘাম ঝড়ানো শ্রম দিয়ে সন্তানদের আগলে রাখেন। এই সন্তানই ব্যস্ততার নিজের বাবা মায়ের খোঁজ ঠিকমতো নেন না। বৃদ্ধ বয়সে যখন তাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন একজন ভালোবাসার মানুষের, তখন তাদের রেখে আসেন বৃদ্ধাশ্রমে।
ভালোবাসা দিবসে অঙ্গিকার হোক, আমরা ভালোবাসবো স্রষ্টার সৃষ্টিকে। ভালোবাসা কোনো নির্দিষ্ট বৃত্তে আটকে না রেখে ছড়িয়ে দেব সবার মাঝে। আমাদের পাশের একজন মানুষও যেনো অভুক্ত থেকে ঘুমুতে না যায়। কোনো সৃষ্টিই যেন টাকার অভাবে বিনা চিকৎসায় মারা না যায়। যেন কোনো পিতা মাতাই যেনো বৃদ্ধাশ্রমের বারান্দায় তার সন্তানের অপেক্ষার প্রহর না গুণে। বৃদ্ধাশ্রমের তিক্ত ভালোবাসা আর দেখতে চাই না। সন্তান তার বাবা-মাকে আগলে রাখবে যেভাবে মমতার বন্ধনে আগলে রেখেছিলেন তারা। এটাই হোক ভালোবাসাবাসির দিনের অঙ্গীকার।
/ এআর /