বেশিরভাগ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নেই নিজস্ব বর্ণমালা [ভিডিও]
প্রকাশিত : ০১:৫৮ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ০৪:১৯ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ বুধবার
বাংলাদেশে প্রায় ৫০ টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষা থাকলেও বেশিরভাগেরই নেই নিজস্ব বর্ণমালা। লিখিত রুপ না থাকায় হারিয়ে যাচ্ছে এসব ভাষা। আদিবাসীদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে নিজস্ব ভাষা সংরক্ষণে ভাষা একাডেমি গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম। যদিও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির ৪০টি ভাষা চিহ্নিত করেছে।
নৃগোষ্ঠীর সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সামগ্রিক রূপ বাংলাদেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী বাঙালিদের কাছে অনেকটাই অপরিচিত। দেশের ৫০টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর রয়েছে নিজস্ব ভাষা।
বিশ্বের মোট জনসংখ্যার সাত হাজার ভাষা চিহ্নিত করেছে ইউনেস্কো। এরমধ্যে পাঁচ হাজার ভাষাই আদিবাসী জনগোষ্ঠীর।
২০১০ সালের শিক্ষানীতি অনুযায়ী, ২০১৭ সালে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মাতৃভাষায় প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করে সরকার। প্রাতিষ্ঠানিক এ শিক্ষা কতটা যুগোপযোগী তা নিয়ে আছে নানা বিতর্ক।
নিজস্ব মাতৃভাষার শিক্ষা ব্যবস্থার প্রচলনে বর্ণমালা নির্ধারণ করেছে পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী। এর মধ্যে গারো ও ত্রিপুরা ঠিক করেছে রোমান বর্ণমালা, মারমারা বার্মিজ, চাকমাদের চাকমা এবং ওরাওদের বাংলা। ঐতিহ্যের দ্বন্দ্বে এখনো বর্ণমালা ঠিক করতে পারেনি সাঁওতালরা।
আদিবাসী ফোরামের মতে, ৪০টি মাতৃভাষার মধ্যে অর্ধেকই এখন বিলুপ্ত। বিপন্ন ভাষাগুলো সংরক্ষণে জাতীয় আদিবাসী ভাষা একাডেমি গড়ে তোলার দাবি রয়েছে ফোরামের।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট বিলুপ্তপ্রায় যেসব ভাষা চিহ্নিত করেছে সেসব ভাষার বর্ণমালা ও অভিধান তৈরির প্রণালি নিয়ে ভাবছেন গবেষকরা।
নানা জাতির নানা ভাষা, এসব ভাষার বৈচিত্র প্রতিটি জাতির নিজস্ব ঐতিহ্য ধারণ করে বলেই ভাষার সংরক্ষণ জরুরি বলেও মনে করেন গবেষকরা।
এসএইচ/