ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

নিজামীর মুত্যুদন্ড আপিল বিভাগেও বহাল

প্রকাশিত : ০৮:২০ এএম, ৫ মে ২০১৬ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৮:২০ এএম, ৫ মে ২০১৬ বৃহস্পতিবার

বুদ্ধিজীবী হত্যায় মুল ভুমিকা পালনকারীদের অন্যতম শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামী। তখনকার পাকিস্তান জামায়াত ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের সাথে যুক্ত হয়ে সভাপতি থেকে হয়েছেন জামাতের আামির, শেষ পর্যন্ত মন্ত্রীও। ২০১০ সালে মামলা হওয়ার পর, যুদ্ধাপরাধের আটটি অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় দেয়া হয় মৃত্যুদন্ড। যা বহাল থাকে আপিল বিভাগেও। মতিউর রহমান নিজামী। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের সঙ্গে যার নাম জড়িয়ে রয়েছে অঙ্গাঙ্গিভাবে, তবে নায়ক নয়- খলনায়ক হিসেবে। জামায়াত আমির নিজামী একাত্তরে ছিলেন দলটির ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি এবং সেই সূত্রে পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতার জন্য গঠিত আল বদর বাহিনীর প্রধান। স্বাধীনতাকামী বাঙালির ওপর দমন-পীড়ন চালাতে পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতার জন্য গঠিত রাজাকার বাহিনী ও শান্তি কমিটিতেও তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে এ মামলার বিচারে উঠে আসে। আল বদর বাহিনীর অন্যতম প্রধান হিসেবে বুদ্ধিজীবীদের হত্যার পরিকল্পনা করেন নিজামী। ৭২ বছর বয়সী নিজামী বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে শিল্পমন্ত্রী ছিলেন। চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর দশ ট্রাক অস্ত্র মামলারও মৃত্যুদন্ডাদেশ পাওয়া আসামি নিজামী। মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১০ সালের ২রা আগস্ট গ্রেফতার দেখানো হয় জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামীকে। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্য, সাক্ষীদের লোম হর্ষক বর্ণনা, উঠে আসতে থাকে একর পর এক তথ্য। নিজামীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, বুদ্ধিজীবী হত্যাসহ একাধিক ঘটনায় মোট ১৬টি অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে আইনের ৪ এর (১) ও ৪ এর (২) ধারায় সহায়তাকারী সংগঠনের প্রধান হিসেবে আনা হয় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দায়-দায়িত্বের অভিযোগ। তবে রায় ঘোষণার আগেই ট্রাইব্যুনাল-১-এর তৎকালীন চেয়ারম্যান বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীর অবসরে গেলে পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনাল-১ দ্বিতীয় দফায় মামলার সমাপনী যুক্তি শুনে ২৪ মার্চ মামলাটি দ্বিতীয় দফায় রায়ের অপেক্ষায় রাখা হয়। এর পর একবার নিজামী অসুস্থ্য হয়ে পড়ায় আবারো রায় অপেক্ষমান রাখা হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকায় বুবুদ্ধিজীবী হত্যার পাশাপাশি নিজ এলাকা পাবনায় হত্যা,গনহত্যা ও ধর্ষনের দায়ে ২০১৪ সালের ২৯ শে অক্টোবর নিজামীকে মৃত্যুদন্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যূনাল। চলতি বছরের ৬ ই জানুয়ারী আপিল আংশিক মঞ্জুর করে মৃত’্যদন্ড বহাল রাখে আপিল বিভাগ। আপিলের মৃত’্যদন্ডের সাজা বহাল থাকায় রিভিউ করেন নিজামী। যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে দন্ডিতদের মধ্যে এ নিয়ে মোট ছয়জনের আপিলের নিষ্পত্তি শেষে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়ে রিভিউয়ের পর্যায়ে এল।