পর্নস্টারকে দেওয়া অর্থ নিয়ে অস্বস্তিতেই ট্রাম্প
প্রকাশিত : ১২:১১ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ বৃহস্পতিবার
পর্ন তারকা স্টেফানি ক্লিফোর্ডের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যৌন সম্পর্ক নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল আগেই। এবার প্রেসিডেন্টের দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত আইনজীবী মাইকেল ডি কোহেল দাবি করলেন, নিজের পকেট থেকে অর্থ খসিয়ে ক্লিফোর্ডকে এক লক্ষ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার দিতে হয়েছিল তাঁকে।
ওই অর্থ তিনি ট্রাম্পের পক্ষ থেকে নয় বরং নিজের পকেট থেকে দিয়েছিলেন এবং কেউ তাকে পরে ওই অর্থ পরিশোধও করেনি বলে জানিয়েছেন এটর্নি কোহেন। তবে কোহেনের এমন দাবিতে বহু প্রশ্নই উঠে এসেছে। যেমন, প্রেসিডেন্ট কি আদৌ জানতেন যে তিনি অর্থ মিটিয়েছেন? কেনই বা তিনি দিতে গেলেন? এর আগেও কি এ ধরনের কাজ করেছেন তিনি? কোনও প্রশ্নেরই উত্তর দেননি কোহেন। বরং সুকৌশলে এড়িয়ে গিয়েছেন। ফলে রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন অনেকেই।
‘স্টর্মি ড্যানিয়েলস’ নামে খ্যাত ক্লিফোর্ড যখন বারবার দাবি করে গিয়েছিলেন, ট্রাম্প ও মেলানিয়ার পুত্র ব্যারন হওয়ার পরপরই তাঁদের সম্পর্ক হয়েছিল, তখন কিন্তু কোহেন তাঁর মক্কেলের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, ক্লিফোর্ডের সঙ্গে সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু এখন বলছেন, এ ভাবে যে অর্থের বিনিময়ে সম্পর্ক, সেটা তিনি ওই ঘটনাতেই জানতে পারেন। এ-ও জানিয়েছেন, এই একই বিবৃতি তিনি ফেডেরাল ইলেকশন কমিশনকেও দিয়েছেন। একটি সরকারি পর্যবেক্ষক দলের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে কমিশন। তদন্তে কোহেনের নামও জড়িয়েছে। নিজেই বলেন, ‘এমনও কথা উঠেছিল, আমি কোনও ভাবে অর্থ আইন ভেঙে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের খাত থেকে অর্থ সরিয়েছি। এই অভিযোগ একেবারেই মানতে পারছি না। ভিত্তিহীন অভিযোগ। আমার দাবির পক্ষে যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ দিয়েছি।’ তবে ক্লিফোর্ডকে নিয়ে আর টুঁ শব্দটিও করতে রাজি হননি কোহেন।
প্রেসিডেন্টের সংস্থায় কাজ করাকালীন কোহেনকে ট্রাম্পের ডান হাত বলেই জানতেন সকলে। ২০১৬ সালের নির্বাচনের সময়ে সাংবাদিকদের তোপের মুখে রাখতেন, যাতে তাঁর মক্কেল সম্পর্কে নেতিবাচক খবর সংবাদমাধ্যমে বেরিয়ে না যায়। কিন্তু ওই সময়েই নতুন করে খবরে আসেন ক্লিফোর্ড। শোনা যাচ্ছে, ভোটের কিছু দিন আগেই ১ লক্ষ ৩০ হাজার ডলার দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। তাতেও শেষ রক্ষা হল না।
সূত্র: আনন্দবাজার
একে// এআর