এজেন্ট ব্যাংকের গ্রাহক এক বছরে বেড়েছে সাত লাখ
প্রকাশিত : ০১:০৮ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ বৃহস্পতিবার
এজেন্ট ব্যাংকের গ্রাহক এক বছরে বেড়েছে সাত লাখ। দিনের পর দিন এ ব্যাংকিং সেবা জনপ্রিয় হচ্ছে। এর সুফলও পাচ্ছেন গ্রাহক ও ব্যাংকগুলো। এতে ব্যাংকের কোন খরচ নেই। ব্যাংকের হয়ে সব খরচ করে দিচ্ছে ব্যাংকের এজেন্ট (প্রতিনিধি)। আর ব্যাংকের শাখার মত প্রায় সব সুবিধা হাতের কাছে পাওয়ায় গ্রাহকরাও আসছেন এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটে। এজেন্ট ব্যাংকিং দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠায় এখন ব্যাংকগুলো এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে মনোযোগ দিচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১২ লাখ ১৪ হাজার ৩৬৭টি হিসাব খোলা হয়েছে। যা গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল পাঁচ লাখ ৪৪ হাজার ৫৩৬টি। সে হিসেবে ছয় মাসের ব্যবধানে হিসাব সংখ্যা বেড়েছে ছয় লাখ ৬৯ হাজার ৮৩১টি। এখন পর্যন্ত এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আউটলেটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার হাজার ১৫৭টি। এসব আউটলেটের বেশির ভাগই গ্রামে। এর মধ্যে ৩৬৪টি আউটলেট শহরে। বাকিগুলো গ্রামে। আর এজেন্ট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৫৭৭। এজেন্ট ব্যাংকিং হিসাবে আমানত জমা পড়েছে প্রায় এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
এদিকে এখন এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স নেওয়া যাচ্ছে। ফলে ডিজিটাল হুন্ডি কমছে। প্রবাসীদেরকে এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবহার করে রেমিট্যান্স পাঠাতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এতে অবৈধ পন্থায় রেমিট্যান্স পাঠানোর হার কমছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, এ পর্যন্ত এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের মাধ্যমে এক হাজার ৯৮২ কোটি টাকার রেমিট্যান্স বিতরণ করা হয়েছে। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের এসব আউটলেটের মধ্যে অনেকগুলো এখন যুক্ত হয়েছে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের (ইউডিসি) সঙ্গে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের চলমান আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রমের আওতায় গ্রামাঞ্চল কিংবা যেখানে প্রচলিত ব্যাংকিং সেবা দেওয়া লাভজনক নয়, সেসব অঞ্চল ও ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলসহ প্রত্যন্ত এলাকায় এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা দেওয়া হয়। বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে ব্যয় সাশ্রয়ীভাবে ব্যাংকিং প্রদানের লক্ষ্যেই এর কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১৩ সালে সর্বপ্রথম ব্যাংক এশিয়াকে এজেন্ট ব্যাংকিং লাইসেন্স দেওয়া হয়। পরবর্তীতে লাইসেন্স পায় অন্যান্য ব্যাংক। এখন পর্যন্ত ১৮টি তফসিলি ব্যাংককে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রমের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি ব্যাংক কার্যক্রম শুরু করেছে।
১৪টি ব্যাংকের মধ্যে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ডাচ-বাংলা ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আউটলেট খুলেছে এক হাজার ৫০৩টি, ব্যাংক এশিয়া এক হাজার ৪৯৭টি, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ১১২টি, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক ৬৬টি, মধুমতি ব্যাংক ২০০টি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ৫০টি, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক ৫১৫টি, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ১৮টি এবং অগ্রণী ব্যাংক ১২৫টি। এছাড়া ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ১৫টি, মিডল্যান্ড ব্যাংক ৫টি, দি সিটি ব্যাংক ২০টি, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ ২৯টি এবং দি প্রিমিয়ার ব্যাংক দুইটি আউটলেট খুলেছে।
এসএইচ/