ভ্যাট অনলাইনে ৯০ হাজার প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন
প্রকাশিত : ০১:৩১ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ বৃহস্পতিবার
ভ্যাট প্রদান জনবান্ধব করার জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো অনলাইনে নিবন্ধন। ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের সঙ্গে সমন্বয় করে বিদ্যমান ১৯৯১ সালের ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করা হবে। বিদ্যমান আইনের আওতায় এ প্রকল্প বাস্তবায়নের বাধা দূর করতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন এ প্রকল্পের আওতায় এখন ভ্যাট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের অনলাইন নিবন্ধনের প্রক্রিয়া চলছে। এ পর্যন্ত অনলাইনের আওতায় প্রায় ৯০ হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে।
এনবিআর সূত্র জানায়, এরপর আর সময় বাড়ানো হবে না। এ সময় পর্যন্ত পুরনো ১১ ডিজিটের নম্বর ব্যবহার করে সব ধরনের কার্যক্রম চালাতে পারবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। আর যেসব প্রতিষ্ঠানের ই-বিআইএন থাকবে না, সেগুলোর সব কার্যক্রম (আমদানি-রফতানি) স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। ১ এপ্রিলের পর নতুন ৯ ডিজিটের ডিজিটাল নম্বর চালু হবে। এটি ইলেকট্রনিক বিজনেস আইডেনটিফিকেশন নম্বর বা ই-বিআইএন নামে পরিচিত।
বর্তমানে পুরনো নিয়মে প্রায় আট লাখ প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট নিবন্ধন রয়েছে। অথচ প্রতি মাসে মাত্র ৩৭ হাজার করদাতা নিয়মিত দাখিলপত্র (রিটার্ন) প্রদান করে। ফলে অনেক অস্তিত্বহীন নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান যেমন রয়েছে, তেমনি ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালু থাকলেও অনেকে নিয়মিত দাখিলপত্র দেন না। বিপুলসংখ্যক এমন প্রতিষ্ঠান নানা কারণে করজালের বাইরে রয়ে গেছে। সার্বিকভাবে এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ, নিবন্ধন গ্রহণের প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ, দ্রুততর ও হয়রানিমুক্ত করতে অনলাইন নিবন্ধনের ব্যবস্থা চালু করা হয়।
এনবিআরের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেন, অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন প্রক্রিয়া নতুন ভ্যাট আইনের (মূল্য সংযোজন কর আইন ও সম্পূরক শুল্ক্ক আইন-২০১২) সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়। এটি বিদ্যমান ১৯৯১ সালের আইনের আওতায় করদাতাদের উন্নত সেবা প্রদানের গতিকে ত্বরান্বিত করবে।
এসএইচ/