অপুকে বিয়ে করলেও সন্তান চাননি শাকিব
প্রকাশিত : ১১:৪৪ এএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ শনিবার
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ডাকা দু’দফা সালিশ বৈঠকে কোনো সমঝোতা হলো না। ঢালিউড তারকা দম্পতি শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের বিচ্ছেদ কেবলই আনুষ্ঠানিকতায় আটকে আছে। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে সব সম্পর্ক। এদিন শাকিবের ডিভোর্স আবেদনের তিন মাস পূর্ণ হবে। একই সঙ্গে কার্যকর হবে ডিভোর্স।
কিন্তু যে অপু সব কিছুর বিনিময়ে শুধুই সংসারটা টিকিয়ে রাখতে চেয়েছেন সে এখন আর শাকিবের অপেক্ষায় নেই। কারণ কোন পদক্ষেপেই আশার আলো দেখেতে পাননি এই নায়িকা। শাকিব যেনো আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে আছেন। শুধু সময়ের অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। তা না হলে অপুর সঙ্গে বিচ্ছেদের যে কারণগুলো তিনি উল্লেখ করেছেন তার জন্য কোন একটি সংসার ভেঙে যেতে পারে তা মানতে নারাজ অপু।
অপু বিশ্বাস বলেছেন, ‘আমাদের সমাজে সাধারণত বাচ্চা হবার পর অনেক ভাঙা সংসার জোড়া লাগে। কিন্তু আমার আর শাকিবের ক্ষেত্রে হয়েছে উল্টোটা। বাচ্চা হবার পর আমাদের ডিভোর্স হতে যাচ্ছে। শাকিব ক্যারিয়ারের জন্য বাচ্চার (ছেলে জয়ের) জন্ম চায়নি।‘
ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে সম্প্রতি একটি এফএম রেডিও চ্যানেলের মুখোমুখি হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিন, শাকিবকে ‘চরিত্রহীন’ উল্লেখ করে অপু বিশ্বাস আরও বলেন, ‘সে তার ক্যারিয়ারের জন্য বাচ্চার সঙ্গেও নাটক করছে। আপনারা প্লিজ, তার ক্যারিয়ার দেখে রাখুন। বাচ্চাকে আমি দেখে রাখবো।’
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের বিয়ে হয়। বিয়ের ব্যাপারটি কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে রেখে তাঁরা দুজন সমানতালে সিনেমার শুটিং অব্যাহত রাখেন। ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল বিকেলে একটি টেলিভিশন চ্যানেলে ছয় মাস বয়সের ছেলে আব্রামকে সঙ্গে নিয়ে উপস্থিত হন অপু। সেদিন অপু বলেন, ‘আমি শাকিবের স্ত্রী, আমাদের ছেলে আছে।’
বিয়ের খবর জনসমক্ষে আসার পর দুজনের সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি হয়। পরিস্থিতি এমন অবস্থায় পৌঁছায় যে শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস নিজেদের মধ্যে মুখ দেখাদেখি বন্ধ করে দেন। শুধু ছেলে আব্রামের কারণে মাঝেমধ্যে দেখা হলেও কথা হয়নি দুজনের।
এরপর গত বছর ২২ নভেম্বর অপু বিশ্বাসের ঢাকার বাসা ও বগুড়ার ঠিকানায় রেজিস্ট্রি করা হলফনামা আকারে তালাকনামা পাঠানো হয়। যার প্রেক্ষিতে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে সব সম্পর্ক।
এসএ/