চিত্রনায়ক মান্নার দশম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
প্রকাশিত : ০১:৫৬ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ শনিবার
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি জনপ্রিয় নায়ক মান্নার দশম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। অসংখ্য ভক্তকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি না ফেরার দেশে চলে যান তুমুল জনপ্রিয় এই নায়ক। মৃত্যুর পরও ঢাকাই চলচ্চিত্রের এই নায়কের জনপ্রিয়তা একটুও কমেনি।
মান্না ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আজ রাজধানীর উত্তরায় মান্নার বাসায় বাদ আসর বিশেষ মিলাদ মাহফিল ও কোরআন খতমের আয়োজন করা হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন মান্নার সহধর্মিণী ও মান্না ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন শেলী মান্না।
তিনি বলেন, সারা দেশের মানুষদের ভালোবাসা পেয়েছিল মান্না। তার মৃত্যুবার্ষিকীতে সবাইকে দোয়া করতে বলা ছাড়া আর কিছুই বলার নেই।
এদিকে এফডিসিতে আজ বাদ আসর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি কক্ষে নায়ক মান্নার দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এমনটি জানিয়েছেন, সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।
জায়েদ খান বলেন, ‘চিত্রনায়ক মান্না শুধু একজন শিল্পী ছিলেন না, একজন দক্ষ সংগঠকও ছিলেন। তার মৃত্যুতে ঢাকাই চলচ্চিত্রের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। আজ তার দশম মৃত্যুবার্ষিকী। তাকে স্মরণ করতেই শিল্পী সমিতির উদ্যোগে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। আমি তার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।’
উল্লেখ্য, মান্না আমৃত্যু বাংলাদেশ চলচ্চিত্রশিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। মান্না একজন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা এবং একজন সফল প্রযোজকও ছিলেন। ১৯৮৪ সালে বিএফডিসি আয়োজিত নতুন মুখের সন্ধানে কার্যক্রমে মান্না চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন। তার প্রথম অভিনীত সিনেমা ‘তওবা’ (১৯৮৪)। মান্না প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হচ্ছে- ‘সিপাহী’, ‘যন্ত্রণা’, ‘অমর’, ‘পাগলী’, ‘দাঙ্গা’, ‘ত্রাস’, ‘জনতার বাদশা’, ‘লাল বাদশা’, ‘আম্মাজান’, ‘দেশ দরদী’, ‘অন্ধ আইন’, ‘স্বামী-স্ত্রীর যুদ্ধ’, ‘অবুঝ শিশু’, ‘মায়ের মর্যাদা’, ‘মা বাবার স্বপ্ন’, ‘হৃদয় থেকে পাওয়া’ ইত্যাদি।
২০০৬ সালে সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান জনপ্রিয় এ অভিনেতা। মেরিল প্রথম আলো পুরস্কারও জমা হয়েছে তার প্রাপ্তির ঝুলিতে। মানুষের ভালোবাসা আর শ্রদ্ধায় তিনি সিক্ত হলেও, তার অনুপস্থিতি দর্শক হৃদয়ে আজও কষ্টের দাগ কেটে যায়।
এসএ/