গ্রাহকদের যে সুবিধা দেবে ফোর-জি
প্রকাশিত : ১২:৫৮ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সোমবার
বাংলাদেশে আজ সোমবার থেকে ফোর-জি সার্ভিস চালু হওয়ার পর বাংলাদেশের গ্রাহকরা আগের চেয়ে অনেক দ্রুত গতিতে ইন্টারনেটে তথ্য-আদান প্রদান করতে পারবেন বলে মনে করছে বাংলাদেশ টেলিকম রেগুলেটরি কমিশন বিটিআরসি। তবে ফোর-জি`র পুরো সুবিধে ভোগ করতে গেলে যে ধরণের অবকাঠামো এবং মোবাইল ফোনের হ্যান্ডসেট থাকা দরকার, তার ঘাটতি থাকার বিষয়টিও স্বীকার করে প্রতিষ্ঠানটি।
বিটিআরসি গত সপ্তাহে ঢাকায় এক উন্মুক্ত নিলামে ফোর-জি ফ্রিকোয়েন্সী বা তরঙ্গ বিক্রি করে। বাংলাদেশের দুটি বড় মোবাইল ফোন কোম্পানি গ্রামীন ফোন এবং বাংলা লিংক এতে অংশ নেয়। নিলাম থেকে বাংলাদেশ সরকারের কোষাগারে ৫ হাজার ২শ ৬৮ কোটি টাকা আসে বলে বিবিসিকে জানান বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহাজাহান মাহমুদ ।
এর আগের প্রজন্মের প্রযুক্তি ছিল টু-জি এবং থ্রী-জি। টু-জিতে কেবল ফোন কল করা এবং টেক্সট মেসেজ পাঠানো যেত। থ্রী-জি প্রযুক্তিতে মোবাইল ফোন থেকে ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ভিডিও কল করা এবং মিউজিক ও ভিডিও ডাউনলোড করার সুযোগ তৈরি হয়। থ্রী-জি`তে যা যা করা সম্ভব, তার সবকিছু ফোর-জি`তেও করা যাবে, তবে দ্রুতগতিতে এবং ভালোভাবে।
কিন্তু বাংলাদেশে থ্রী-জি সেবার মান নিয়ে গ্রাহকদের অনেক অভিযোগ রয়েছে। দেশের মোবাইল ফোন অপারেটররা যেখানে থ্রী-জি সেবা ঠিকমত দিতে পারেনি, সেখানে এই নতুন সেবা কতটা দিতে পারবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বিশেষজ্ঞদের।
তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ আবু সাঈদ মনে করেন, ফোর-জি চালু হওয়ার পর দেশের অভ্যন্তরে ডিজিটাল বিভক্তি আরও বৃদ্ধি পাবে। কারণ বড় বড় শহরের মানুষেরা এ সুবিধা পেলেও দেশের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষগুলো এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে।
তার যুক্তি হচ্ছে, গ্রাহক স্পিড পাবে না, পাবে ভলিউম। তার ওপর গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে তার সিমটি ফোর জি তে আপগ্রেড করার জন্য। কোনো ধরনের চার্জ নেওয়া এ পর্যায়ে অনৈতিক। এই অর্থ নেয়ার অধিকার নেই। টু-জি থেকে যখন থ্রি-জিতে আসে তখন তো কোনো চার্জ নেওয়া হয়নি। তবে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে কোনো অপারেটরই গ্রাহকদের মানসম্পন্ন থ্রী-জি সেবা দিতে পারেনি। ফোর জি সেবা দেবে কিভাবে।
সূত্র: বিবিসি
একে// এআর