তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট স্থাপন হবে: নসরুল হামিদ
প্রকাশিত : ০৬:৫১ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সোমবার
চলতি বছরে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদুৎ প্ল্যান্ট স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও ওয়াটারকিপার বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নসরুল হামিদ বলেন, এ বছরের মধ্যেই নতুন করে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট স্থাপন করছি। এতে করে নতুন করে ৩ হাজার বিদ্যুৎ সংযোজিত হবে। এটা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, আমরা আরও ৫৫টি প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছি, কিন্তু জমির জন্য তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না। বিদ্যুৎ বিভাগে নতুন করে গবেষণাকর্ম শুরু হয়েছে।যারা গবেষণা করতে ইচ্ছুক তাদের আহ্বান জানাচ্ছি। আমেরিকায় ইতোমধ্যে কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনায় ফিরে এসেছে। আর আমরা অনেক আগে থেকেই এ রাস্তায় হাঁটছি। এখন যদি কেউ কয়লা বা গ্যাসের চেয়ে সস্তায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করে দেখাতে পারে, তাহলে সেটাই গ্রহণ করবো।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য গবেষণাবিদের বক্তব্য ও উপস্থাপনাকে লক্ষ্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে হাঁটছে। আমাদের সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে জনসংখ্যা ও জমির সল্পতা। এ অবস্থায় আপনারা যদি দুবাইকে উদাহরণ হিসেবে টানেন তাহলে তো মিলবে না। কারণ দুবাইয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো মিল নেই। ঢাকায় প্রতি বর্গকিলোমিটার ৪৪ হাজার লোকের বসবাস। অন্যদিকে দুবাইতে মাত্র ১০ জন। তাদের জমি ও অর্থের অভাব নেই। তাদের সঙ্গে আমাদের তুলনা করলে চলবে না।
বিপুল জনগোষ্ঠি সম্পন্ন দেশে যদি পাঁচ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সোলার থেকে পেতাম, তাহলে আমি তা সানন্দে গ্রহণ করতাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এ প্রজেক্ট যদি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় তাহলে আমি তা সানন্দে গ্রহণ করবো। কিন্তু তাতোও সম্ভাব নয়। পরিবেশের দিকে আমি সবচেয়ে বেশি বাধার সম্মুখীন হবো। ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে সোলার প্ল্যান্ট বন্ধ। আবার এই প্ল্যান্ট বাস্তবায়নে প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ জমি। সেই জমিটা পাবো কোথায়? তাই যেটা সম্ভব সেটা করতে এগিয়ে আসুন, দেশের প্রেক্ষাপট অনুসারে।
আরকে// এআর