মেনে না নিয়ে কি করবো?
প্রকাশিত : ০৩:৪৬ পিএম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৩:৫১ পিএম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হৈমন্তী চরিত্রের কথা মনে আছে? হৈমন্তীকে নিয়তি মেনে নিতে হয়েছিল। হৈম পেয়েছিল স্বামীর ভালোবাসা, তবে যা পায়নি তা শ্বশুর বাড়ির স্ত্রীর মর্যাদা। এতেই হৈম একদিন পরপাড়ে পাড়ি দেন। আর এদিকে শ্বশুর বাড়িতো নয়-ই, ‘স্বামীর ভালোবাসাটুকুও জোটেনি অপুর’। এক সময় বাংলা চলচ্চিত্রে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করা অপু বিশ্বাস তাই মেনে নিয়েছেন হৈমর ভাগ্য। বারবার কাকুতি-মিনতি করেও স্বামীর মন টলাতে না পারার দুঃখে মেনে নিয়েছেন বিচ্ছেদকেই।
হৈমর মতোই মেনে নিয়েছেন নিয়তিকে। এ যেন চিরাচরিত আবহমান বাংলার পুরুষশাসিত সমাজের আরেক প্রতিচ্ছবি। তবে হৈম ওকালের মেয়ে। আর অপু একালের। তাই দুজনের পার্থক্যটাও বেশ। অপু নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে প্রমাণ করতে চান নারী পারে। আর তাই, ইতোমধ্যে আবারও চলচ্চিত্রে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন। চুক্তি সই করেছেন চারটি চলচ্চিত্রে। এখান থেকেই নিজেকে আবার দাঁড় করাতে চান একসময়ের ঢাকাই চলচ্চিত্রের হটলিস্টে থাকা গুণী এ নায়িকা।
সাকিব খানের সঙ্গে সংসার ভাঙ্গা বিষয়ে অপু বলেন, ‘আমি তো সাকিব খানকে ছাড়তে চাইনি। একজন বাঙ্গালী নারী হয়ে সংসার করতে চেয়েছিলাম। এর জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। বারবার ওর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি। এমনকি ডিভোর্সের পরও সিটি কর্পোরেশনের তিন বৈঠকে উপস্থিত হয়েছি। ভেবেছিলাম ওর সঙ্গে দেখা হলে, ও সব কিছু বুঝতে পারবে। আবার আমার সোনার সংসার আলোয় ভেসে ওঠবে। কিন্তু না, সে সেখানেও আসেনি। তাঁর সঙ্গে সংসার করতে এমন কোন চেষ্টা নেই যে করিনি। কিন্তু কি ফল হলো? তাই তার ডিভোর্স মেনে না নিয়ে আমি কি করবো?’
উল্লেখ্য, বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে সাকিব খান শুরু থেকেই অপু বিশ্বাসকে দোষারোপ করে আসছে। সাকিবের অভিযোগ, অপু গোপনে প্রেম করছেন। এ ছাড়া তাঁর সন্তানকে একা বাসায় রেখে কোলকাতায় কথিত প্রেমিকের সঙ্গে ডেটিংয়ে গেছেন। তাই, এ তালাকনামা পাঠান সাকিব। তালাক দেওয়ার পরই সাকিব অভিনয়ের কাজে দেশ ত্যাগ করেন। বর্তমানে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় একটি ছবির শ্যুটিংয়ের কাজে ব্যস্ত রয়েছে।
এমজে/