মালদ্বীপে সংকট: যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে চীন
প্রকাশিত : ১২:০১ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ১২:০২ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ বুধবার
দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপের চলমান সংকটকে পুঁজি করে চীন দেশটিতে আধিপত্য দেখাতে শুরু করেছে। এরইমধ্যে দেশটির পূর্বাঞ্চলে যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে চীন। তবে কি কারণে সেখানে যুদ্ধ জাহাজ পাঠানো হয়েছে, সে ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটে বসেছে চীনা কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, মালদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইয়ামিনির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে চলছে চীন। এরই ধারাবাহিকতায় চীনের নেওয়া ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান ওয়ে’ প্রকল্প চুক্তিতে সাক্ষর করেছেন ইয়ামিনি। এদিকে চীনের এ উদ্যোগে ভারতের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।
সর্বোচ্চ আদালত রাজনৈতিক বন্দীসহ দেশটির সাবেক সরকারের বেশ কয়েকজন ঊর্ধতন কর্মকর্তাকে মুক্তি দেওয়ার আদেশ দেওয়ার পরই দেশটিতে রাজনৈতিক সংকট শুরু হয়। প্রেসিডেন্ট ইয়ামিনি আদালতের আদেশ অমান্য করে প্রধান বিচারপতিসহ সর্বোচ্চ আদালতের বেশ কয়েকজন বিচারক, ও সাবেক প্রেসিডেন্ট মামুন আব্দুল গাইয়ুমকে গ্রেফতার করে।
তবে সাবেক প্রেসিডেন্ট আন্নি নাশিদ শ্রীলঙ্কায় থাকায়, তাঁর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারছে না ইয়ামিনি। এদিকে আন্নি নাশিদকে গ্রেফতারেও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মালদ্বীপের পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির চেষ্টা করছে তারা।
এরইমধ্যে দেশটিতে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও একমাস বাড়িয়েছেন ইয়ামিনি। গতকাল সোমবার জরুরি অবস্থার মেয়াদ একমাস বাড়িয়ে তিনি বলেন, দেশে শান্তি স্থাপন না হওয়ায় আমরা জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়াতে বাধ্য হয়েছি। এদিকে ইয়ামিনিকে আদালতের আদেশ মেনে নিতে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও জাতিসংঘসহ বেশ কয়েকটি দেশ ইয়ামিনিকে আহ্বান জানিয়েছেন।
তবে ভারতসহ তার মিত্ররা ইয়ামিনিকে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের কথা বললেও, এ বিষয়ে নীরব পাশ্ববর্তী দেশ চীন। জানা গেছে, দেশটির বিদ্যুৎ খাতসহ অন্যান্য খাতেও বড় অঙ্কের বিনিয়োগ রয়েছে চীনের। তাই দেশটিতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে, চীন তার বিনিয়োগে যাতে কোন ধরণের প্রভাব না পড়ে সেজন্য আগে থেকেই প্রস্তুত রয়েছে বলে মনে করছে বিশ্লেষকরা।
এদিকে চীনা গণমাধ্যম সিনাকমসিএন, চলতি মাসেই চীনের ওই যুদ্ধজাহাজগুলো পূর্ব ভারত মহাসাগরে প্রবেশ করে। এতে রয়েছে কয়েকটি ডেস্ট্রয়ার, অন্তত একটি ফ্রিগেট, ৩০ হাজার টনের একটি উভচর জাহাজ এবং তিনটি সহায়ক ট্যাংকার। তবে এই জাহাজবহর কেন পূর্ব ভারত সাগরে প্রবেশ করলো সে বিষয়ে কোন মন্তব্য করেনি চীন।
এমজে/