ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

পাকিস্তান মুসলিম লীগের প্রধানের পদ হারালেন নওয়াজ

প্রকাশিত : ০৯:১৬ এএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৯:৩১ এএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ বৃহস্পতিবার

নওয়াজের বিরুদ্ধে আদালতের রায়ের পর মিছিল বের করে নওয়াজ সমর্থকেরা।

নওয়াজের বিরুদ্ধে আদালতের রায়ের পর মিছিল বের করে নওয়াজ সমর্থকেরা।

নিজ দল পাকিস্তান মুসলিম লীগের প্রধানের পদ হারাতে হল নওয়াজ শরীফকে। গতকাল দেশটির আদালতের এক রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে দলটির নেতৃত্ব হারালেন পাকিস্তানের এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী।

গত বছর পাকিস্তানের আদালতের এক আদেশে প্রধানমন্ত্রীত্বও হারিয়েছিলেন এই প্রবীণ রাজনৈতিক। তবে পাকিস্তান মুসলিম লীগ নেওয়াজ (পিএমএলএন) দলের সাংসদদের করা এক আইনের বদৌলতে দলটির নেতৃত্বে ছিলেন নওয়াজ। দেশটির উচ্চ আদালতের রায়ে সেই নেতৃত্বও হারালেন তিনি।

দলটির প্রধানের পদ হারানোর পাশাপাশি বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে পিএমএলএন দলের প্রধান হিসেবে নেওয়া সকল সিদ্ধান্তকেও। আর এতে আগামী মার্চে আসন্ন সিনেট নির্বাচন হয়ে পরেছে অনিশ্চিত। কারণ ওই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিদের মনোনয়ন দিয়েছিলেন খোদ নওয়াজ শরীফ।

নওয়াজ শরীফের দলীয় প্রধানের পদ চ্যালেঞ্জ করে বিরোধী দলগুলোর এক আবেদনের প্রেক্ষিতে দেশটির উচ্চ আদালত এই রায় দেন। রায়ে পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি বলেন, “আদেশ জারি করা হয়েছে, নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আর কাগজপত্রও নির্বাচন কমিশনের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। দলটির প্রধান হিসেবে যেসব সিদ্ধান্ত দিয়েছে নওয়াজ শরীফ তা এই রায়ে বাতিল করা হল”।

নওয়াজকে প্রধান মন্ত্রীর পদ থেকে সরানো রায়ে যে পাঁচ জন বিচারপতি ছিলেন, সেই বিচারপতিরাই গতকালের এই রায় দেন।

পাকিস্তানের এক মন্ত্রী ড্যানিয়েল আজিজ বলেন, “এ রায়ের ফলে নওয়াজ শরীফের সমর্থনকারীদের সংখ্যা আরও বাড়বে। দেশের জনগণ বুঝতে পারছে যে তাকে (নওয়াজ শরীফ) এবং তার দলের সাথে অন্যায় করা হচ্ছে”।

পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক হাসান আসকারি রিজভী দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, “নওয়াজ তার স্ত্রী কুসলুমকে দলের প্রধান করতে পারেন। আর এর মাধ্যমে দলে তার নেতৃত্ব টিকিয়ে রাখবেন নওয়াজ”। তবে কুসলুম বর্তমানে ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য লন্ডনে অবস্থান করছেন।

প্রসঙ্গত, পানামা পেপার কেলেংকারি ঘটনায় গত বছর দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেন নওয়াজ শরীফকে। এর ফলে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর পদ হারাতে হয় তাকে। এর আগেও ৯০ এর দশকেও প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় দুই দুই বার অভ্যুত্থানের শিকার হয়ে পদ হারিয়েছিলেন তিনি।

সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান

//এস এইচ এস//