ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক আরও সমৃদ্ধ করল বিজ্ঞানীরা

প্রকাশিত : ১১:১৩ এএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ বৃহস্পতিবার

কয়েক বছর আগে নতুন উপায়ে ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক উৎপাদন করা জার্মানির একদল বিজ্ঞানী প্রতিষেধকটিকে আরও সমৃদ্ধ করেছেন বলে দাবি করেছেন। গতকাল বুধবার তারা বলেন, প্রতিষেধকটি তৈরির যে পদ্ধতি তারা উদ্ভাবন করেছিলেন তা আরও উন্নত করেছেন।

এ উন্নয়নের ফলে প্রতিষেধকটির উৎপাদন ব্যয় অনেকখানি কমে যাওয়ার পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী এর সহজলভ্যতাও বেড়ে যাবে। এমনটাই দাবি বিজ্ঞানীদের।

জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাংক ইন্সটিটিউটে ২০১২ সালে বিজ্ঞানীদের এই দল এক নতুন উপায়ে ম্যালেরিয়া প্রতিষেধক উৎপাদনের কৌশল আবিষ্কার করেন। এক ধরণের তেতো গাছ থেকে ম্যালেরিয়া প্রতিষেধক তৈরির সময় যে আর্টেমিসিনিন তৈরি হত তা ফেলে দেওয়া হত। এই ফেলে দেওয়া অংশ থেকেই ম্যালেরিয়া প্রতিষেধক তৈরির এক কৌশল আবিষ্কার করেন তারা।

ওই উপায়ে আর্টেমিসিনিন তৈরির সময় উচ্ছিষ্ট ৪০ শতাংশ অ্যাসিডকে পুনরায় আর্টেমিসিনিনে রুপান্তর করা হতো।

তবে নতুন আবিষ্কৃত উপায়ে প্রতিষেধক তৈরিতে অনুঘটক হিসেবে বাহ্যিক কোন রাসায়নিকের বদলে ওই গাছের ক্লোরোফিলই ব্যবহার করা হয়। গবেষকদের সদস্য কেমিস্ট কেরি গিলমোর জানান, আরও সাশ্রয়ী এবং সুবিধাজনক উপায়ে প্রতিষেধক তৈরিতে উদ্ভিদটির নিজস্ব উপাদানই ব্যবহার করা যায়।

গত নভেম্বরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিশ্বে প্রায় ২১৬ কোটি মানুষ ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়। ২০১৫ সালের থেকে যা ৫মিলিয়ন বেশি। এদের মধ্যে প্রায় ৪ লক্ষ ৪৫ হাজার জন মানুষ ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে।

ম্যাক্স প্ল্যান্ট ইন্সটিটিউটের পরিচালক পিটার সিবারগার বলেন, “বিশ্বে ম্যালেরিয়া প্রতিষেধক সহজলভ্য করতে আর এর দাম কমিয়ে আনতে এই গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে”।

সূত্রঃ ম্যালেরিয়া

//এস এইচ এস// এআর