ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

‘মৃত্যুর প্রহর গুনছি’

আসাদ বাহিনীর হামলায় নিহত ২৭

প্রকাশিত : ১২:০৮ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ বৃহস্পতিবার

সিরিয়ার দামেস্কে আসাদ বাহিনী ও রুশ বাহিনীর মিলিত হামলায় অন্তত ২৭ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ২০০ জন। এরই মধ্যে ওই এলাকার স্থানীয়দের মধ্যে মৃত্যু আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সবার একটাই আকুতি, ‘হামলা বন্ধ কোরো। আমাদের বাঁচাও। এ হামলা বন্ধ না হলে, আমরা মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছি।’

জানা গেছে, এতদিন আইএস ও বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে হামলা চালালেও এবার বেসামরিক লোকজন বাস করে এমন ভবনও বোমা হামলায় গুড়িয়ে দিচ্ছে আসাদ বাহিনী। তাই স্থানীয়দের মধ্যে নতুন করে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক।

চলতি মাসেই দামেস্কে ও পূর্ব গৌতায় হামলা চালিয়ে অন্তত ২৯৯ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে সরকারি বাহিনী। পূর্ব গৌতার বেশ কয়েকটি জেলা লক্ষ্য করে এ বিমান হামলা চালাচ্ছে আসাদ বাহিনী। আর এতে সহায়তা করছে রুশ বাহিনী। দুই বাহিনীর মিলিত হামলায় আইএস পিছু হটলেও হামলা অব্যাহত রেখেছে তারা।

গত বুধবার পূর্ব গৌতার বেশ কয়েকটি এলাকা লক্ষ্য করে এ বিমান হামলা চালায় তারা। এতে ওই এলাকায় বাস করা প্রায় ৪ লাখ বাসিন্দার জীবনে নেমে এসেছে দুর্বিসহ যন্ত্রণা। সারাক্ষণই তাঁদের বয়ে বেড়াতে হচ্ছে মৃত্যু যন্ত্রণা। সবার মধ্যে কেবল একটাই আতঙ্ক! এই বুঝি একটা বোমা কেড়ে নিবে পরিবারটিকে, ধসিয়ে দিবে যুগ যুগ ধরে বাস করে আসা ভবনটি।

এদিকে সিরিয়ায় পর্যবেক্ষক সংস্থা মনিটর জানিয়েছে, এ হামলা চালানোর মাধ্যমে আসাদ বাহিনী যুদ্ধাপরাধ করছে। যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হবে রাশিয়াও। তাদের এই হামলা আন্তর্জাতিহক আইনের পরিপন্থী বলে মন্তব্য করে পর্যবেক্ষক সংস্থাটি।

এদিকে রয়টার্সের কাছে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দোমার অধিবাসী বিলাল আবু সালেহ বলেন, আমরা মৃত্যুর প্রহর গুনছি, আর এটাই আমাদের একমাত্র পথ। এদিকে হাসপাতালগুলোতেও বিপর্যয় নেমে এসেছে। জরুরি ওষুধ সেবাসহ চিকিৎসক ও নার্স সংকটে আহতদের জরুরি চিকিৎসা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে চিকিৎসকরা। এদিকে হাসপাতালগুলোও নিরাপদ নয় বলে মনে করছে স্থানীয়রা। যে কোন সময় হাসপাতালগুলোতেও বিমান হামলা চালাতে পারে আসাদ বাহিনী। তাই অনেকেই বাধ্য হয়ে আহত হওয়ার পরও নিজ বাড়িতেই কোন রকম চিকিৎসা নিচ্ছেন।

সূত্র: রয়টার্স
এমজে/