ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

ইংল্যান্ডে বাড়ছে বয়স্ক কর্মজীবী নারীর সংখ্যা

প্রকাশিত : ১২:৩১ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ বৃহস্পতিবার

ইংল্যান্ডে দিন দিন বাড়ছে বয়স্ক কর্মজীবী নারীর সংখ্যা। দেশটিতে ৫০ থেকে ৬০ বছর বয়সী কর্মজীবী নারীর সংখ্যা এখন রেকর্ড পরিমাণ ৪২ লাখ।

২০ বছর আগেও দেশটিতে ৫০ থেকে ৬৪ বছর বয়সী কর্মজীবী নারীর সংখ্যা ছিল প্রায় ২৪ লাখ। পাশাপাশি অন্তত ৫০ বছর ধরে কাজ করছেন এমন নারী ও পুরুষের মোট সংখ্যা এক কোটি ছাড়িয়ে ছে। ইংল্যান্ডে এমন নজির এবারই প্রথম।

পেনশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বয়স্ক চাকুরেরা মনে করছেন যে, কাজ করে যাওয়া ছাড়া তাদের জন্য আর কোনো উপায় নেই। উচ্চাভিলাসী জীবন, নিম্ন অংকের পেনশন দেশটিতে দেশটিতে পেনশন বয়স বৃদ্ধিতে কাজ করছে বলেও অভিমত বিশেষজ্ঞদের।

ইংল্যান্ড ভিত্তিক সেভিংস ফার্ম এজে বেল ডেইলি মেইলকে বলেন, ‘বয়স্ক কর্মজীবীদের মধ্যে কেউ কেউ ভালো লাগা থেকেই চাকরি করে যাচ্ছেন। আর কেউ কেউ মনে করেন, চাকরি করা ছাড়া তাদের জন্য আর দ্বিতীয় কোন উপায় খোলা নেই।’

অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং উন্নয়ন সংস্থার এক সমীক্ষা অনুযায়ী, বিশ্বের অন্য যে কোন উন্নত দেশের তুলনায় ইংল্যান্ড তার নাগরিকদের সবথেকে কম পেনশন দেয়।

গড়ে এ পেনশনের পরিমাণ সপ্তাহে প্রায় ১২২ পাউন্ড; যা মূল আয়ের মাত্র ২৯ শতাংশ।

দেশটির একসময় পেনশন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ব্যারোনেস অল্টম্যান উদ্ভুত পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশ। কিন্তু সমাজের বয়স্কদের প্রতি আমাদের সাহায্য চাহিদার তুলনায় যথেষ্ট নয়”।

এদিকে দেশটির নারীদের পেনশন পাবার বয়স ৬৩ থেকে ৬৫ করা হবে চলতি বছরেই। আর ২০২০ সাল নাগাদ নারী ও পুরুষ উভয়েরই পেনশনের বয়স ৬৬-তে গিয়ে ঠেকবে বলে জানায় ডেইলি মেইল।

তবে বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন ইংল্যান্ডের শ্রমমন্ত্রী অলোক শর্মা। তিনি বলেন, “বেশিদিন কাজের মধ্যে থাকাটা আমাদের শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতার জন্য উপকারী। আর সেই সাথে তা পকেটে টাকাও আনবে। নতুন এই সংখ্যা বলছে যে, মানুষ কর্মসংস্থানের প্রতি নতুন করে ইতিবাচক দৃষ্টি স্থাপন করছে”।

কিন্তু বয়স্ক চাকরিজীবীর সংখ্যা যেমন বাড়ছে দেশটিতে বেকারত্বের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। গত পাঁচ বছরের মধ্যে দেশটিতে বেকারত্বের সংখ্যা এখন সবথেকে শীর্ষে। দেশটিতে কর্মক্ষম বেকারের সংখ্যা এখন ১৪ লক্ষ ৭০ হাজার। গত পাঁচ বছরে এ তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছেন ৪৬ হাজার মানুষ।

সূত্রঃ ডেইলি মেইল

//এস এইচ এস// এআর