শিক্ষিকা যখন মডেল
প্রকাশিত : ১০:৫৭ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ১০:৩০ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ শনিবার
সাধারণত শিক্ষিকারা শেণী কক্ষের ক্লাস বা পরীক্ষার খাতা দেখা নিয়েই বেশিরভাগ সময় ব্যস্ত থাকেন। এর বাইরে অন্য কোনো কাজ তাদের তেমন একটা করা হয় না। কিন্তু কেউ যদি বলিউড ছবির ‘ম্যায় হুনা’ চলচ্চিত্রের নায়িকা সুস্মিতা সেনের মতো হন। শেণীকক্ষের শিক্ষিকা যদি হন খুব ফ্যাশন সচেতন। তার স্টাইল যদি হয় রুপালি পর্দার নায়িকা বা মডেলদের মতো। তাহলে সেটা কেমন হয়?
বেসরকারি উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কিন্তু এমন এক আনকোড়া অভিজ্ঞতা আছে যা অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নেই! তাদের ফ্যাশন ডিজাইনিং এর শিক্ষিকা নাজমি জান্নাত। আর দশজন শিক্ষিকা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। তিনি ফ্যাশন সচেতন। সক্রিয় আছেন মিডিয়াতে নানা কাজে, নিত্য নতুন স্টাইল দিয়ে প্রভাবিত করতে চান শিক্ষার্থীদের ফ্যাশন জ্ঞান।
এমন একজন ফ্যাশন সচেতন শিক্ষিকা সম্পর্কে কথা হয় সে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। ফ্যাশন ডিজাইনিং এর শিক্ষার্থী অপূর্ব ইসলাম জানান, গতানুগতিক ধারার বাইরে একজন শিক্ষিকা পেয়ে তারা সবাই বেশ দারুণভাবে উপভোগ করেন শ্রেণী কক্ষের কার্যক্রম। ফ্যাশন টিচার নিজেই ফ্যাশন সচেতন হওয়াটা তাদের জন্য বাড়তি একটি পাওনা।
এ প্রসঙ্গে শিক্ষিকা নাজমি জান্নাতের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একজন ফ্যাশন শিক্ষিকা যদি নিজেই ফ্যাশন সচেতন না হন তাহলে তা ফ্যাশন ডিজাইনিং শিক্ষায় একটা বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। প্রতিটি নতুন স্টাইল, পোশাক-পরিচ্ছদ, চলাফেরা থেকে শিক্ষার্থীরা শিখবে। তারা জানবে আর ভাল কিছু দেবার চেষ্টা করবে।
হালের আবেদনময়ী উপস্থাপিকা আর একজন শিক্ষিকা- এই দুই সত্ত্বার ভেতর যোগসূত্র কোথায়? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, শ্রেণীকক্ষের শিক্ষিকা যদি একটু আলাদা হয়ে, একটু গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে চলতে পারে, তাহলে কিন্তু সেটা শিক্ষার্থীদের জন্য একটা বেশ অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে পারে।
‘ঢাকা এট্যাক’ চলচ্চিত্রের কস্টিউম ডিজাইনার এবং হালের জনপ্রিয় উপস্থাপিকা নাজমি জান্নাত তার বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডী ছাড়িয়ে ফ্যাশন সচেতনতা আরো অনেক দূর ছড়িয়ে দিতে চান।
এসি/