ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

মোদীর সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরের পদ ছাড়লেন প্রিয়াঙ্কা

প্রকাশিত : ১২:৫৪ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ শনিবার

নীরব মোদী। ভারতের পলাতক ধনকুবের। কিছুদিন আগে তার উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। ওই সময় সবার মুখে একটাই প্রশ্ন ছিলো- সত্যিই কি প্রিয়াঙ্কাকে দিয়ে কাজ করিয়ে টাকা দেননি মোদী! যদিও এ বিষয়ে কিছুই বলেননি প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। কিন্তু নীরবের সংস্থার সঙ্গে সব রকম চুক্তি বাতিল করেছেন অভিনেত্রী। এমনকি মোদীর সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরের পদ থেকেও সরে দাঁড়ালেন প্রিয়াঙ্কা। একই সঙ্গে নীরব মোদীর গহনার কোম্পানির সঙ্গে সব রকম চুক্তিও বাতিল করেছেন তিনি।

গত বছর জানুয়ারিতে নীরবের সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। ভারতের তিনটি মহাদেশে রয়েছে এই সংস্থার শোরুম। যেখানে পাঁচ লক্ষ থেকে ৫০ কোটি টাকা মূল্যের গহনা বিক্রি হয়। কিন্তু নীরব মোদীর মুখোশ খুলে যাওয়ার পরই নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

প্রিয়াঙ্কার মুখপাত্র জানান, সম্প্রতি নীরব মোদীর বিরুদ্ধে যে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তারপর আর তাঁর কোম্পানির সঙ্গে কোনও রকম সম্পর্ক রাখতে চান না কোয়ান্টিকো খ্যাত অভিনেত্রী। সেই কারণেই নীরব মোদীর সংস্থার সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানলেন তিনি।

প্রিয়ঙ্কার মুখপাত্র আরও জানিয়েছেন, নীরব মোদীর বিরুদ্ধে প্রিয়ঙ্কা মামলা দায়ের করেছেন বলে বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে খবর হয়েছিল। কিন্তু সে খবরের কোনও ভিত্তি নেই।

উল্লেখ্য, মোদীর গহনার কোম্পানির হয়ে বিজ্ঞাপন করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। বিজ্ঞাপনে তাঁর সঙ্গে স্ক্রিন স্পেস শেয়ার করেছিলেন সিদ্ধার্থ মালহোত্রা। বিভিন্ন ভারতীয় ও বিদেশি চ্যানেলে দেখানোও হয় সেই বিজ্ঞাপন। অথচ এতদিনেও নিজের পারিশ্রমিক পাননি প্রিয়াঙ্কা। যা নাকি দেওয়ার কথা ছিল হীরে ব্যবসায়ী নীরবের। তখন বিষয়টিকে নিয়ে বিশেষ গুরুত্ব না দিলেও নীরবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কথা ফাঁস হতেই নড়েচড়ে বসলেন প্রিয়াঙ্কা।

প্রসঙ্গত, সিবিআই সূত্রের খবর, ২০১১-এ মুম্বইয়ে পিএনবি-র ব্র্যাডি হাউস শাখা থেকে কোনও নিয়মকানুন ছাড়াই বিরাট অঙ্কের ঋণের গ্যারান্টি হাতিয়ে নেয় নীরব ও তাঁর সংস্থা ফায়ারস্টার ডায়মন্ড। লক্ষ্য ছিল হংকং থেকে হিরে কেনা। যার মানে, টাকা মেটানো না হলে তার দায়িত্ব ব্যাংকের। সেই নথি দেখিয়ে আবার এলাহাবাদ ব্যাংক, অ্যাক্সিস ব্যাংক সহ আরও কিছু ব্যাংকের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ জোগাড় করেন নীরব।

এদিকে বৃহস্পতিবারও পলাতক ধনকুবের নীরবের অ্যাকাউন্ট থেকে ৩০ কোটি টাকা ফ্রিজ করেছে ইডি। নীরবের সংস্থা থেকে সিজ করা হয়েছে ১৭৬টি স্টিলের আলমারি ও আমদানি করা ঘড়ি।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন ও আনন্দবাজার

এসএ/