মার্চেই জরুরি বিভাগ খুলছে বিএসএমএমইউ
তবিবুর রহমান
প্রকাশিত : ০৪:৩৪ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ১২:২১ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ রবিবার
সারাদেশ থেকে আসা রোগীদের তাৎক্ষনিক সেবা নিশ্চিত করতে জরুরি বিভাগ খুলছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। আগামী মার্চ মাস থেকে এ বিভাগ চালুর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বাড়তি রোগীর কথা মাথায় রেখে এবং সেবার মান উন্নতি করার লক্ষ্যে গত এক বছর আগেই জরুরি বিভাগ চালুর সিদ্ধান্ত নেয় বিএসএমএমইউ। কিন্তু ঠিকাদারের মাধ্যমে জরুরি কিছু চিকিৎসা সরঞ্জাম সময়মতো কিনতে না পারায় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা যায়নি। বরর্তমানে যন্ত্রপাতি কেনার কাজ শেষ পর্যায়ে। তাই আগামী মাসেই জরুরী বিভাগ চালু করা যাবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাক কান গলা বিভাগের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান একুশে টিভি অনলাইনকে বলেন, বর্তমানে অর্থোপেডিক, নিউরো সার্জারি, পেডিয়াটিক সার্জারি, গাইনির জরুরি বিভাগ আছে, সেগুলো আরও সম্প্রসারণ করা করা হবে। আগামী মাসেই সববিভাগে জরুরী সেবা চালু করা হবে। তবে কত তারিখে চালু হবে এ বিষয় প্রসাশন বলতে পারবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিুবর রহমান দুলাল বলেন, ‘আমাদের জরুরি বিভাগ চালুর প্রক্রিয়া প্রায় শেষ। ঠিকাদারের মাধ্যমে বিদেশ থেকে কিছু জিনিসপত্র (যন্ত্রপাতি) কেনাকাটার কাজও শেষ পর্যায়ে আছে। আগামী মাস থেকেই জরুরি সেবা চালুর প্রস্তুতি ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কমর্কর্তা বলেন, এখানে জরুরি বিভাগ না থাকায় অনেক সময় রোগীকে রাস্তার ধারে মেঝেতে শুইয়ে রাখতে হচ্ছে। এখানে আসামাত্রই সব রোগীর চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে জটিল রোগে আক্রান্ত রোগিদেরও নিদারুন কষ্ট পোহাতে হচ্ছে।
এই কর্মকর্তা আরও জানান, আশার কথা হচ্ছে— মুমূর্ষু রোগীদের জরুরি চিকিৎসা সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে বিএসএমএমইউ শিগগিরই জরুরি বিভাগ চালু করতে যাচ্ছে।
হেলথ রাইটস মুভমেন্ট ন্যাশনাল কমিটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. রশীদ-ই-মাহবুব বলেন, জরুরি বিভাগের সঙ্গে আনুষঙ্গিক সব বিষয় থাকতে হয়। এই বিভাগের সঙ্গে কার্ডিওলজি, নিউরো সার্জারি, কিডনি ডিজিজের সম্পর্ক রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় তো অনেক বড় ব্যাপার। সেখানে সব বড়মাপের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা কাজ করেন। তারা জরুরি বিভাগে কতটুকু কাজ করতে পারবেন, সেটাই দেখার বিষয়। আবার রোগীদের অনুপাতে কতটা বেড থাকবে, সেটাও বিএসএমএমইউ-কে বিবেচনায় রাখতে হবে।
/ এআর /