ভারতের সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ
প্রকাশিত : ০৫:০৮ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ শনিবার
ভারতের সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াতের একটি মন্তব্য ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। দিল্লির সঙ্গে ছায়াযুদ্ধের অংশ হিসেবে পাকিস্তান পরিকল্পিতভাবে ভারতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী পাঠাচ্ছে-সেনাপ্রধানের এমন মন্তব্যে এই বিতর্ক তৈরি হয়।
বুধবার নর্থ ইস্ট রিজিয়ন অব ইন্ডিয়া-ব্রিজিং গ্যাপস অ্যান্ড সিকিওরিং বর্ডার্স শীর্ষক এক সেমিনারে দেওয়া বক্তৃতায় বিপিন রাওয়াত বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে অস্থির রাখতে চীনের সমর্থন নিয়ে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ওই এলাকার দিকে ঠেলে দিচ্ছে পাকিস্তান।
সেনাপ্রধানের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি মার্ক্সবাদী (সিপিএম), অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফোরাম (এআইইউডিএফ) এবং মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন (মিম)।
সেনাপ্রধান তার সাংবিধানিক পরিসরের বাইরে গিয়ে রাজনৈতিক বক্তব্য দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করে দলগুলো।
সিপিএম-এর পলিট ব্যুরো সদস্য ব্রিন্দা কারাত বলেন, জেনারেল রাওয়াতের বক্তব্য যথার্থ নয়। দৃশ্যত সেনাবাহিনীকে ‘রাজনীতিকীকরণ’-এর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে। সংবিধানে সেনাবাহিনী ও রাজনীতির পৃথকীকরণের কথা বলা হয়েছে। তিনি সংবিধানের সীমারেখা অতিক্রম করেছেন। সেনাবাহিনীর সুপ্রিম কমান্ডার হিসেবে ভারতের রাষ্ট্রপতির উচিত এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া এবং এর পুনরাবৃত্তি না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা।
সেনাপ্রধানের অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফোরামের (এআইইউডিএফ) নেতা মাওলানা বদরউদ্দিন আজমল বলেন, সংবিধান তাঁকে মহান সেনাবাহিনীকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের উত্থান-পতন নিরীক্ষণের দায়িত্ব তাকে দেওয়া হয়নি। তিনি সংবিধানে নির্ধারিত সীমারেখা অতিক্রম করেছেন।
সূত্র: দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া
/ এআর /