কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৫তম জন্মজয়ন্তী আজ
প্রকাশিত : ১১:৪৯ এএম, ৮ মে ২০১৬ রবিবার | আপডেট: ১১:৪৯ এএম, ৮ মে ২০১৬ রবিবার
আজ ২৫শে বৈশাখ। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৫তম জন্মজয়ন্তী। সার্বজনীন ও সর্বকালীন এ কবি বাংলা ভাষাসাহিত্যকে পরিচিত করেছেন বিশ্বের দরবারে। অসামান্য সৃজন আর সমগ্র সাহিত্য ভাবনায় তিনি মূর্ত করেছেন বাঙালির সব আবেগ-অনুভূতিকে। তাইতো নাগরিক মধ্যবিত্ত মননে আজও বাজে কবির অনিন্দ্যসুন্দর সব গান। সবমিলে তিনি আজও বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কাছে এক অনতিক্রান্ত স্বত্বা।
আপন স্বতন্ত্র জীবনের চেয়েও বড়ো যে জীবন, সে জীবনে বাঁচতে চেয়েছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.... তাই আজও ধ্যানমগ্ন কবির গানে অবাক, মুগ্ধ গোটা পৃথিবী।
প্রাণে ভরা বৈচিত্র্যময় এ পৃথিবীতে কবি এসেছিলেন ১৮৬১ সালে। জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে, বাবা দেবেন্দ্রনাথ ও মা সারদা দেবীর কোলজুড়ে।
মাত্র ১৩ বছর বয়সে প্রতিভার প্রকাশ ঘটে, কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ কবি কাহিনীতে। তারপর উচ্চশিক্ষার জন্য তাঁকে বিলেত পাঠানো হলেও গতানুগতিক প্রাতিষ্ঠানিক গন্ডীর বাইরে অনন্য এক উচ্চতা ছুঁতে চেয়েছিলেন রবি ঠাকুর।
তিনি বিচরণ করেন শিল্প-সাহিত্যের সব শাখায়। সত্য, সুন্দর আর প্রেমের সাধনা হয়ে ওঠে তার সমগ্র কাব্য সাহিত্যের প্রয়াস। পৃথিবীর প্রতি বিপুল ভালোবাসা আর আকর্ষণে আকুল হয়ে ওঠেন কবি।
১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলী কাব্যগন্থের জন্য প্রথম বাঙালি হিসেবে নোবেল পুরস্কার জেতেন রবীন্দ্রনাথ। ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে তিনি প্রত্যাখান করেন বৃটিশ সরকারের দেয়া নাইট উপাধি।
সমগ্র জীবনে অসংখ্য কাব্যগ্রহ্ন, গান, নাটক আর উপন্যাস রচনা করেন কবিগুরু। এমনকি জীবন সায়াহ্নে, সত্তর বছর বয়সে তিনি শুরু করেন ছবি আঁকা।
কবির কাব্য গানে আজো মুখর বিশ্বচরাচর। আর বাঙালির প্রেমে বিরহে আজো অপরিহার্য রবীন্দ্রনাথ।