কোচিংকে ‘ছায়াশিক্ষা’ হিসেবে স্বীকৃতির দাবি
প্রকাশিত : ০২:৩০ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ০২:৩০ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ রবিবার
কোচিং সেন্টারকে ‘ছায়া শিক্ষা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে কোচিং এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠন। আজ রবিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এই দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের আহবায়ক ইমদাদুল হক।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রশ্নফাঁস রোধে ২৬ জানুয়ারি থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারী সব কোচিং সেন্টার সরকারের নির্দেশে বন্ধ রাখা হলেও প্রশ্ন ফাঁস রোধ করা সম্ভব হয়নি। প্রশ্ন প্রণয়ন, মুদ্রণ, বিতরণ ও পরীক্ষা গ্রহণের কোন পর্যায়ে কোচিং সেন্টারগুলোর সম্পৃক্ততা নেই বিধায় কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখা যুক্তিসঙ্গত না। প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।
সংবাদ সম্মেলনের এক পর্যায়ে উন্মুক্ত আলোচনায় বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের প্রতিনিধিগণ কোচিং সেন্টারের পক্ষে নানা যুক্তি তুলে ধরেন। তারা বলেন, বছরের বিভিন্ন সময় সরকারি ছুটি উপলক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকে। এছাড়া বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার সময় ক্লাস বন্ধ থাকে। বছরে ১৯০- ২০০ দিন কোন পাঠদান কার্যক্রম থাকে না। বছরে অন্যদিনগুলোতে নানা ধরনের স্কুল পরীক্ষা লেগেই থাকে। এসব হিসেবে সারা বছরে ক্লাস হয় মাত্র ১১৫-১২৫ দিন। এই অল্প সময়ে সিলেবাস শেষ করা সম্ভব হয় না বিধায় ছাত্রছাত্রীদের কোচিং সেন্টারের সহায়তা নিতে হয়।
বক্তারা এসময় বলেন, বুয়েট- মেডিকেল থেকে পাস করা শীর্ষস্থানীয় মেধাবীরা সচরাচর স্কুলে শিক্ষকতা করেন না। কিন্তু কোচিং সেন্টারগুলো ওইসব মেধাবীদের খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে ক্লাস করার সুযোগ করে দেওয়ায় ছাত্রছাত্রীদের পাঠের মান বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের উদাহরণ তুলে ধরে বক্তারা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে কোচিং সেন্টার রয়েছে। কোথাও কোথাও সহায়ক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে কোচিং সেন্টার স্বীকৃত। তাছাড়া বেকারত্ব সমস্যা সমাধানেও কোচিং সেন্টার ভূমিকা রাখছে বলে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে স্কুল- কলেজের বেতনভোগী শিক্ষক জড়িত নন এমন কোচিং সেন্টারগুলোকে ছায়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে চালু রাখার দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাহমুদুল হাসান সোহাগ, সৈয়দ মাহবুবুল হক পলাশ, আবু রায়হান, পলাশ সরকার, মাহবুব আরেফিন প্রমুখ।
/ আআ / এআর