ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ব্রেস্ট ক্যান্সার মৃত্যুরোধ : গবেষণা টিমে বাংলাদেশি তরুণ

প্রকাশিত : ০৩:৫০ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ১০:৩৫ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সোমবার

ব্রেস্ট ক্যান্সার বর্তমান সময়ের এক আতঙ্কের নাম। এর চিকিকৎসা পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা চলছে। প্রাথমিক স্তরেই ব্রেস্ট ক্যান্সার স্থায়ী নির্মূল এবং এর বিস্তৃতি রোধে করা একটি গবেষণার রিপোর্ট সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মেডিক্যাল জার্নালে।

`এ্যাসপ্যারাজিন বায়োএভেইলিবিলিটি গভার্নস মেটাস্ট্যাটিস ইন অ্যা মডেল অব ব্রেস্ট ক্যান্সার` নামের গবেষণাটি এক বছরের বেশ সময় ধরে পরিচালনা করেন ২১ সদস্যের গবেষক-টিম।

এতে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং কানাডার ২১ তরুণ চিকিৎসা-বিজ্ঞানী। এর মধ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক সৌখিন খানও রয়েছেন।


নিউইয়র্কে বসবাসরত জামালপুরের মাদারগঞ্জের সন্তান শাহীন খান ও নাসরীন শিল্পীর জ্যেষ্ঠ ছেলে সৌখিন খান। বর্তমানে নিউইয়র্কে হাওয়ার্ড হাজেস মেডিক্যাল ইন্সটিটিউটে ওয়াটসন স্কুল অব বায়োলজিক্যাল সাইয়েন্সেসের ছাত্র তিনি।
সৌখিন খান বলেন, ব্রেস্ট ক্যান্সার নিয়ে সারা দুনিয়াতেই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বেড়েছে। এ্যাসপ্যারাজিনের প্রভাব বেশি থাকলে ব্রেস্ট ক্যান্সারের জীবানু সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন জৈব-রাসায়নিক প্রতিক্রিয়ায়। এ ধরনের পরিস্থিতির শিকার রোগীকে বাঁচানো খুব কঠিন হয়ে পড়ে। চেষ্টা করেছি খাদ্যাভাসে ব্রেস্ট ক্যান্সারের বিস্তার কীভাবে ঘটে এবং বংশানুক্রমে অথবা অন্য কোনভাবে ক্যান্সারে আক্রান্তদের মৃত্যু কীভাবে ঠেকানো যায় তা খুঁজে বের করার।  
সৌখিন খান জানান, জীনের মাধ্যমে এ্যাসপ্যারাজিনের প্রকাশ ঘটছে নানাভাবে, কারণ প্রত্যেকটা জীন জৈব রাসায়নিক প্রতিক্রিয়ার বাহন হিসেবে কাজ করে থাকে। অনেক রোগী কেমোথেরাপি নিচ্ছেন। এর পাশাপাশি তাদের খাদ্যাভাসেও পরিবর্তন আনা জরুরি। এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নেই।
গবেষণা টিম কেবল এ্যাসপ্যারাজিন এবং মেটাস্ট্যাটিস নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করেছে। আর এই গবেষণা কর্মকে সঠিকভাবে নিরূপণের অভিপ্রায়ে ইঁদুরের ওপর নির্ভর করেছেন তারা। কোনো একটা মেটাবলিক পন্থার মাধ্যমে জীন থেকে এ্যাসপ্যারাজিনের প্রকাশকে রুদ্ধ করা যায়, এবং যদি নিশ্চিত হওয়া যায় যে, এ্যাসপ্যারাজিন আর তৈরি হচ্ছে না, তাহলেই ব্রেস্ট ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। তবে এ নিয়ে আরও বেশি বেশি গবেষণা চালিয়ে যেতে হবে। এই গবেষণা টিম হয়তো দ্বিতীয় ধাপে সে পরিকল্পনায় এগুবেন বলে সবার ধারণা।

/ এআর /