শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে কাজ চলছে:বনমন্ত্রী
প্রকাশিত : ১২:০১ এএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সোমবার
ঢাকাসহ দেশের সকল বিভাগীয় শহরে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। রোববার সংসদে সরকারি দলের সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সরকার শব্দ দুষণ নিয়ন্ত্রণে দেশে শব্দ দুষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬ জারি করেছে। এছাড়াও শব্দ দুষণ নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের সক্ষমতা ও সমন্বয় বৃদ্ধির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার।
তিনি বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা, রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশালে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, গাড়িচালক ও বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীসহ মোট ১৯ হাজার ৯৪৪ জনকে শব্দ সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
আনিসুল ইসলাম বলেন, শব্দ দুষণের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের সুবিধার্থে পরিবেশ অধিদপ্তর, বিআরটিএ বাংলাদেশ পুলিশকে ২৩০টি সাউন্ড লেভেল মিটার প্রদান করেছে।
তিনি বলেন, টেলিভিশন ও রেডিওতে শব্দ জনসচেতনতামূলক অনুষ্ঠান প্রচার এবং শব্দদুষণ নিয়ন্ত্রণে টেলিভিশন সিরিয়াল (টিভিসি) নির্মাণ ও প্রচার করা হয়েছে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপনসহ সচেতনতামূলক উপকরণ প্রদান এবং অনলাইন পোর্টাল ও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার করা হচ্ছে।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রী বলেন, জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শব্দ দুষণ ও নিয়ন্ত্রণে এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রমের ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রমের আওতায় এ পর্যন্ত শব্দদুষণের বিরুদ্ধে ১১৩টি শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে ২ কোটি ১৯ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য্য করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে।
তিনি বলেন, শব্দমাত্রা জরিপ, জনসচেতনতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ প্রদান, মানবদেহে শব্দের প্রভাব নিরূপণসহ শব্দদুষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যক্রম গ্রহণের জন্য দেশের ৬৪টি জেলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে প্রকল্প প্রণয়নের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এছাড়াও শব্দদুষণ নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ অধিদপ্তর, বিআরটিএ এবং ট্রাফিক বিভাগের সমন্বিত উদ্যোগে হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যবহারকারী বা শব্দের মানমাত্রা অতিক্রমকারী যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এমএইচ/টিকে