ঢাকা, শুক্রবার   ০৮ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ২৪ ১৪৩১

আজ অভিজিৎ হত্যার ৩ বছর পূর্তি

প্রকাশিত : ০৯:২২ এএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০৯:৪২ এএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সোমবার

আজ সোমবার বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যার তিন বছর পূর্তি। ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে বের হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা পার হওয়ার সময় তাকে কুপিয়ে হত্যা করে জঙ্গিরা। তার সঙ্গে থাকা স্ত্রী ড. রাফিদা আহমেদ বন্যাও হামলায় মারাত্মক আহত হন। হত্যার তিন বছরেও খুনিদের সবার পরিচয় নিশ্চিত হতে পারেননি তদন্তকারীরা। তদন্তে উঠে আসা ১১ হত্যাকারীর মধ্যে মাত্র তিনজনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে একজন। পলাতক বাকি সাতজনের মধ্যে তিনজনের প্রকৃত পরিচয় জানার দাবি করছেন তদন্তকারীরা।

অভিজিৎ ও বন্যা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ায় সে দেশের সংস্থা এফবিআই হত্যার তদন্তে সহায়তা করছে। সংস্থাটির প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ১৩টি আলামত পরীক্ষা করে রিপোর্টও দিয়েছে এফবিআই।

দুই বছর মামলাটির তদন্তভার ছিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে। গত বছর কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের কাছে তদন্তভার স্থানান্তর করা হয়। সিটিটিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, শিগগিরই অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিলের প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা। ছদ্মনামে পলাতক খুনিদের ‘অজ্ঞাতপরিচয় রেখে’ এবং সবার ভূমিকা উল্লেখ করে চার্জশিট দেওয়া হবে। তদন্তসংশ্লিষ্টরা জানান, প্রথম দুই বছরে উগ্রপন্থী ব্লগার ফারাবীসহ সন্দেহভাজন আটজনকে গ্রেফতার করেছিল ডিবি, সিআইডি ও র‌্যাব। তবে তদন্তে তাদের কারো সম্পৃক্ততা এখনো মেলেনি।

অভিজিৎ হত্যা মামলার অগ্রগতি নিয়ে রোববার সাংবাদিকদের এক অনানুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে সিটিটিসি প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, এই হত্যাকাণ্ডে জিয়াউল (সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত মেজর) সরাসরি সম্পৃক্ত। ঘটনার সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন। তিনি গ্রেফতার না হলেও বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করার মতো তথ্য-প্রমাণ আমাদের হাতে রয়েছে। কয়েক মাস আগেও তিনি দেশে ছিলেন, কিন্তু বর্তমানে সক্রিয় না থাকায় তিনি কোথায় আছেন এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। মনিরুল ইসলাম বলেন, আসামিদের জবানবন্দি অনুযায়ী জিয়াউলসহ পাঁচজনকে খুঁজছি আমরা। এই পাঁচজনের মধ্যে দুই-তিনজনকে ধরতে পারলে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হবে।

অভিজিতের বাবা অধ্যাপক অজয় রায় বলেন, তিন বছরের তদন্ত ধীরগতিতে চলছে। আমরা চাই দ্রুত মামলার তদন্ত শেষ করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।

 

এসএইচ/