ঢাকা, শুক্রবার   ০৮ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ২৪ ১৪৩১

ঢাবি ছাত্রলীগের সাত নেতাকে বহিষ্কার

প্রকাশিত : ০৮:০৩ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সোমবার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের আবাসিক ছাত্র এহসান রফিকের ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের সাত নেতাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ড (ডিবি) তাদের বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে বলে সোমবার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক . কে এম গোলাম রব্বানী

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ঘটনার সব তথ্য-প্রমাণ ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হল কর্তৃপক্ষের তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে দোষীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিন রকমের বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়। সভার সুপারিশ আগামীকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী বোর্ড সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদিত হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন।

এ সাতজনের মধ্যে ঢাবি মার্কেটিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মো. ওমর ফারুককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। অপর ছয়জনকে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে দুই বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এরা হলো- সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের সামিউল ইসলাম সামিন, দর্শন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের আহসান উল্লাহ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের মো. রুহুল আমিন বেপারী, উর্দু বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের মো. মেহেদী হাসান হিমেল ও লোকপ্রশাসন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ফারদিন আহমেদ মুগ্ধ।

এছাড়া ঘটনা সংঘটিত করার প্ররোচনা দায়ে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মো. আরিফুল ইসলামকে এক বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে শৃঙ্খলা বোর্ড।

বহিষ্কৃতদের মধ্যে আরিফুল ইসলাম সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি, মেহেদী হাসান হিমেল উপ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক, ওমর ফারুক, রুহুল আমিন বেপারী ও ফারদিন আহমেদ মুগ্ধ হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক, সামিউল ইসলাম সামিন ও আহসান উল্লাহ ছাত্রলীগের হল কমিটির সদস্য।

এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি এহসান রফিকের ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান হিমেল, ওমর ফারুক ও রুহুল আমিনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি।

উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এহসান রফিককে ধরে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেলের কক্ষে নিয়ে যায় ছাত্রলীগ কর্মীরা। সেখানে তাকে বেধরক পেটানো হয়। মারধরের কারণে তিনি চোখে মারাত্মক আঘাত পান।

সেখানে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সড়ক দুর্ঘটনায় আহতের কথা বলে প্রাথমিক চিকিৎসা করানোর পর আবার হল ছাত্রলীগের সভাপতি তাহসান রাসেলের কক্ষে নেওয়া হয়।

/আর / এআর