মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞায় সম্মত ইইউ
প্রকাশিত : ০৮:৫৯ এএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার
মিয়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিধনযজ্ঞে নেতৃত্ব দেওয়ায় দেশটির বেশ কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে সম্মত হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। গতকাল সোমবার বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সংস্থাটির সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এই ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন।
এদিকে ১৯৯০ এর দশকে দেশটির ওপর করা অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরো জোরদার করার ব্যাপারে সব পররাষ্ট্রমন্ত্রী-ই একমত হয়েছেন। শুধু তাই নয়, দেশটির ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অংসান সূচির সমালোচনা করেন ইইউর নেতৃবৃন্দ। এদিকে গণহত্যাসহ মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনকারী জেনারেলদের নামের তালিকা তৈরি করতে ইইউর নীতি বিষয়ক প্রধান ফেদেরিকা মগেরিনিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, দায়ী জেনারেলদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নভূক্ত দেশগুলোতে থাকা তাদের সম্পত্তি জব্দ করা হবে।
এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার নিষেধাজ্ঞা দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তবে তাদের এ নিষেধাজ্ঞাও কেবল সেনাবাহিনীর সদস্যদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের এ নিষেধাজ্ঞা জেনারেলদের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
ইইউর নিষেধাজ্ঞার আওতায় কোনো জেনারেলের নামে উঠে না আসলেও রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞে নেতৃত্ব দেওয়া মেজর জেনারেল মও মও সোয়েরসহ বেশ কয়েকজন ঊর্ধতন সেনাকর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে তারা।
এদিকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জাতিগত নিধনের অভিযোগ আনে জাতিসংঘ। সংস্থাটি বিভিন্ন সময় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গাদের দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে, চেষ্টা করেছে দেশটির ওপর কোন ধরণের নিষেধাজ্ঞা বা শক্ত কোন ব্যবস্থা নেওয়া যায় কি না। তবে শেষ পর্যন্ত চীন ও রাশিয়ার ভেটোর (বিরোধিতা) কারণে নিরাপত্তা পরিষদ কোন পদক্ষেপ নিতে পারেনি। তবে বারবার জাতীয় পরিষদে দেশটির ওপর ব্যবস্থা আরোপের দাবি ওঠেছে।
এমজে/