পিএসসিরও আর্থিক স্বাধীনতা পাওয়া জরুরি: মোহাম্মদ সাদিক (ভিডিও)
প্রকাশিত : ০৪:২৫ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ মঙ্গলবার
সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে, ‘পাবলিক সার্ভিস কমিশন-পিএসসি’র আর্থিক স্বাধীনতার বিষয়টি সংবিধানিকভাবে স্বীকৃত। কিন্তু, অর্থ মন্ত্রণালয় এই প্রতিষ্ঠানটিকে বরাদ্দকৃত বাজেটে অর্থ বিভাজনের ক্ষমতা দেয়নি। এ কারণে অর্থ ব্যবস্থাপনায় সমস্যায় পড়তে হয় পিএসসিকে। অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মতো পিএসসি’রও আর্থিক স্বাধীনতা পাওয়া জরুরি বলে জানিয়েছেন পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক।
দীর্ঘ শিক্ষা জীবন শেষে কর্ম জীবনে প্রবেশের ক্ষেত্রে সবারই পছন্দের তালিকায় থাকে বিসিএস এর ক্যাডার পদ। আর সরকারি এ সব চাকরির পরীক্ষা নেয় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান পাবলিক সার্ভিস কমিশন-পিএসসি।
কিন্তু, পিএসসির এই পরীক্ষার বৈতরণী পার হতে, চাকরিপ্রত্যাশীদের পাড়ি দিতে হয় দীর্ঘ পথ। প্রিলিমিনারি, লিখিত, ভাইভা পরীক্ষার পর গেজেট প্রকাশ। এরপর, পুলিশ ভ্যারিফিকেশন ও কাজে যোগদান। কোন কিছুই সময়ের নির্দিষ্ট ছকে বাধা থাকে না। তবে, গতানুগতিক এই অবস্থার পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন চাকরি প্রত্যাশীরা।
এদিকে, কাজে গতিশীলতা আনতে পরীক্ষার মূল্যায়ন ও ফল প্রস্তুতে বিশেষায়িত নিজস্ব সফটওয়্যারে কাজ করছে পিএসসি। কর্তৃপক্ষ বলছে, আগের মত পরীক্ষা জট নেই। চেষ্টা চলছে এক বছরের মধ্যেই, পরীক্ষার আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার। তবে, নানা সীমাবদ্ধতার কথাও জানালেন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান।
প্রতিষ্ঠান প্রধান বলেন, জনবল সংকটের কারণে একেক কর্মকর্তাকে বাড়তি দায়িত্ব হিসেবে, চার থেকে পাঁচজনের কাজ করতে হয়। এছাড়া, পরীক্ষা পরিচালনায় সব কিছুরই খরচ বেড়েছে। কিন্তু, নিত্য খরচের প্রয়োজন মেটাতে অর্থমন্ত্রণালয়ের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয় পিএসসিকে। অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মতো স্বাধীনভাবে অর্থ খরচের সুযোগ নেই পিএসসির।
যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত করে সুপারিশের পর, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় দ্রুততার সঙ্গে নিয়োগ দিলে, চাকরি প্রার্থীদের ভোগান্তি কমবে বলে মনে করেন পিএসসির চেয়ারম্যান।
এসএইচ/