ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

২০১৬-১৭ অর্থবছরে ২০ হাজার কোটি টাকার ইলিশ উৎপাদন

প্রকাশিত : ১২:০০ এএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ বুধবার

বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বার্ষিক উৎপাদন হয়েছে প্রায় লাখ ৯৬ হাজার মেট্রিক টন। প্রতি কেজি ৪০০ টাকা হিসেবে যার বাজার মূল্য প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনে ইলিশ মাছের অবদান প্রায় ১২ শতাংশ। জিডিপিতে ইলিশ মাছের অবদান প্রায় শতাংশ। মঙ্গলবার মৎস্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সরকারের জাটকা ও প্রজননক্ষম ইলিশধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলাফল, অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠা এবং নিষিদ্ধসময়ে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন প্রচেষ্টার ফলে ২০১৬-১৭ সালে ইলিশের উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে। একইসাথে লক্ষ্যমাত্রা-অতিক্রম করে মৎসোৎপাদনেও বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইলিশ দেশের অর্থনীতি, কর্মসংস্থান ও আমিষ জাতীয় খাদ্য সরবরাহে অনন্য ভূমিকা পালন করে আসছে। বিগত কয়েক দশকে বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট পরিবেশ যেমন- নদ-নদীর নাব্যতা হ্রাস, পরিবেশ বিপর্যয়, নির্বিচারে জাটকানিধন ও অধিকমাত্রায় ডিমওয়ালা ইলিশ-আহরণ ইত্যাদির কারণে ইলিশের উৎপাদন দ্রূত হ্রাস পাচ্ছিল।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, দেশে ইলিশের প্রধান চারটি প্রজননক্ষেত্র যেমন ঢালচর, মনপুরা, মৌলভীর চর ও কালির চর দ্বীপে প্রতিবছর ইলিশের প্রজনন মৌসুমে আশ্বিন মাসের বড়পূর্ণিমার সময়, বড়পূর্ণিমার ৪দিন আগে এবং এর ১৭দিন পরে মোট ২২ দিন ইলিশ মাছ ধরা নিষিদ্ধ। প্রতিবছর নভেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত জাটকা ধরার মৌসুম হলেও মার্চ ও এপ্রিল মাসে সর্বোচ্চ পরিমাণে অর্থাৎ ৬০-৭০ শতাংশ জাটকা ধরা পড়ে। তাই নভেম্বর থেকে জুন মাস পর্যন্ত অভয়াশ্রম ঘোষণার প্রয়োজন হলেও জেলেদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, বিকল্প কর্মসংস্থান ও অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে ঘোষিত ৫টি অভয়াশ্রমে উল্লেখিত সময়ে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রজনন মৌসুমে ২০১৭ সালে ২২দিন ইলিশ-আহরণ নিষিদ্ধ থাকায় প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ ইলিশ মাছ আহরণ হতে রক্ষা পেয়েছে। আহরণমুক্ত ইলিশ থেকে প্রায় ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৩৯৫ কেজি ডিম প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত হয়েছে। উৎপাদিত ডিমের পরিস্ফুটনের হার ৫০ শতাংশ হিসেবে প্রায় ৩ লাখ ৩৮ হাজার ১৯৭ কেজি রেণু উৎপাদিত হয়েছে। এই রেণুর বাঁচার হার ১০ শতাংশ হিসেবে প্রায় ৪২ হাজার ২৭৪ কোটি পোনা বা জাটকা চলতি বছর ইলিশ উৎপাদন হবে।

 

আর