ঢাকা, শুক্রবার   ০৮ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ২৪ ১৪৩১

দক্ষতা উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করবে এটুআই-ইউসেপ বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ১২:০৯ এএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ০৭:১৩ পিএম, ৫ মার্চ ২০১৮ সোমবার

সকলের জন্য যথোপযুক্ত কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণ ও মাথাপিছু রেমিটেন্স বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের গ্রামীণ যুবক-যুবতীদের দক্ষতা উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হলো ‘কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষতা’।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়স্থ এসএসএফ ব্রিফিং রুমে এটুআই প্রোগ্রামের সঙ্গে ইউসেপ বাংলাদেশ-এর একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) এবং এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক জনাব কবির বিন আনোয়ার এবং ইউসেপ বাংলাদেশে-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তাহসিনাহ আহমেদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন।

এ সমঝোতা স্মারকের প্রধান উদ্দেশ্য হল ইকোনমিক জোনভুক্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান সমূহের জন্য দক্ষ কর্মী তৈরি, এ্যাপ্রেনটিচশীপ(শিক্ষানবিশি) প্রোগ্রামের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন, উদ্যোক্তা তৈরি এবং বিভিন্ন কারিগরি ও বৃত্তিমূলক ট্রেডে অনলাইনে প্রশিক্ষণ।

এ সমঝোতা স্মারকের আওতায় এটুআই প্রোগ্রাম এবং ইউসেপ বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে চারটি দক্ষতা উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করবে। প্রথমত, বিভিন্ন শিল্প-প্রতিষ্ঠানে গ্রামীন যুবক-যুব মহিলাদের জন্য এ্যাপ্রেনটিচ শীপের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করবে। বর্তমানে এটুআই প্রোগ্রামের উদ্যোগে প্রায় ৩০০ এর অধিক ফরমাল শিল্প-প্রতিষ্ঠানে ১০,০০০+ এবং উপজেলা পর্যায়ে ২,০০০ এর বেশী ইনফরমাল কর্মক্ষেত্রে ৫,০০০+ বেকার যুবক-যুব মহিলাকে এ্যাপ্রেনটিচ শীপের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, তরুণ সমাজের জন্য উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং আত্ম-কর্ম সংস্থানমূলক বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করবে।

এতে তারা ব্যবসা শুরু, বিনিয়োগ, ব্যাংক লোন এবং নিজ ব্যবসার ব্রান্ডিং ও মার্কেটিং করার পদ্ধতি ইত্যাদি বিষয়ে সম্যক ধারণা পাবে। তৃতীয়ত, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (বেজা)-এর আওতায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ১০০টি ইকোনমিক জোন তৈরি হচ্ছে।

এ সমঝোতা স্মারকের আওতায় এটুআই প্রোগ্রাম ওইউসেপ বাংলাদেশ-এর যৌথ উদ্যোগে এসব ইকোনমিক জোনভুক্ত শিল্প-প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য দক্ষ কর্মী তৈরি করা হবে। চতুর্থত, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক কোর্সসমূহকে ই-লার্নিং-এ রূপান্তর করে এটুআই প্রোগ্রামের মুক্তপাঠের মাধ্যমে অনলাইনে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।

‘সমাজের কোন অংশকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন নয়’-মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যকে মূলমন্ত্র ধরে এটুআই প্রোগ্রাম কর্তৃক নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে শিল্প-প্রতিষ্ঠানের সাথে এ্যাপ্রেনটিচশীপ-এর মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন, সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য তৈরি পোশাক বিষয়ক দক্ষতা ও কর্মসংস্থান, উপবৃত্তিপ্রাপ্ত দরিদ্র শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়ন, সাধারণ শিক্ষার সঙ্গে কারিগরী শিক্ষার সমন্বয়, ট্যুরিজম এ্যান্ড হসপিটালিটি বিষয়ক দক্ষতা উন্নয়ন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের দক্ষতার চাহিদা নিরূপণ, মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনগণের জন্য ইমাম বাতায়ন, কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর জন্য দক্ষতা উন্নয়ন এবং বিদেশ গমনেচ্ছুদের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন প্রোগ্রাম উল্লেখযোগ্য।

ইতোমধ্যে এটুআই প্রোগ্রামের উদ্যোগের মাধ্যমে প্রায় ৫৩,০০০ যুবককে বিভিন্ন কারিগরি ও বৃত্তিমূলক ট্রেডে প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মে নিযুক্ত করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামের পলিসি স্পেশালিস্ট আসাদ-উজ-জামান, ইউসেপ বাংলাদেশ এর চিফ প্রোগ্রাম অফিসার মোঃ হাবিবুর রহমান এবং এটুআই ও ইউসেপ বাংলাদেশ এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এসি/