ঢাকা, শুক্রবার   ০৮ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ২৪ ১৪৩১

মশা নিয়ন্ত্রণে সব কিছুই করবো : মেয়র খোকন

প্রকাশিত : ০৩:৩৮ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ বুধবার

মশা নিয়ন্ত্রণে রাখতে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ‘সম্ভব সবকিছু’করবে- এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মেয়র সাঈদ খোকন। তিনি বলেছেন, আমাদের সব জনবল, সব ইকুইপমেন্ট এক জায়গায় জড়ো করে এক একটা জোনে সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করব। আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগ সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পাড়া মহল্লায় গিয়ে ওষুধ ছিটিয়ে আসব।
শীত শেষে নগরীতে মশার উৎপাত বেড়ে যাওয়ায় বুধবার দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় মশক নিধনে ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রামের’ উদ্বোধনকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ভেতরে নিজের হাতে ফগার মেশিন দিয়ে মশার ওষুধ ছিটিয়ে এ কর্মসূচির সূচনা করেন মেয়র। তিনি বলেন, এবার যাতে চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব নগরে ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য আমাদের সম্মানিত নাগরিকদের আগাম সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। আপনাদের বাসার আঙিনায় যদি ঝোপ-ঝাড় থাকে, তাহলে সেগুলো পরিষ্কার রাখবেন। মশার বিস্তার ঘটতে পারে এমন কোথাও যদি পানি জমে থাকে, সেগুলোও পরিষ্কার রাখবেন।
গতবছর বর্ষা মওসুমের শুরু থেকেই ঢাকায় মশাবাহিত রোগ চিকুনগুনিয়া ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ে।    
 এডিস প্রজাতির এডিস ইজিপ্টি এবং এডিস এলবোপিকটাস মশা থেকে চিকুনগুনিয়া রোগের সংক্রমণ ঘটে। চিকুনগুনিয়া ভাইরাসটি টোগা ভাইরাস গোত্রের ভাইরাস। মশাবাহিত হওয়ার কারণে একে আরবো ভাইরাসও বলে। ডেঙ্গু ও জিকা ভাইরাসও এ মশার মাধ্যমে ছড়ায় এবং রোগের লক্ষণ প্রায় একই রকম। চিকুনগুনিয়া হলে জ্বরের সঙ্গে গিটে গিটে ব্যথা, মাথা কিংবা মাংসপেশিতে ব্যথা, শরীরে ঠাণ্ডা অনুভূতি, চামড়ায় লালচে দানা ও বমি বমি ভাব হতে পারে। সাধারণত প্রাণঘাতী না হলেও  গিটে গিটে চিকুনগুনিয়া ব্যথা ভোগাতে পারে দীর্ঘদিন।
এবার শীত শেষে আবহাওয়া উষ্ণ হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই ঢাকায় মশার উপদ্রপ বেড়েছে ব্যাপক হারে। চিকিৎসকরা বলছেন, এখন যে কিউলেক্স মশার উৎপাত চলছে, তাতে মারাত্মক কোনো রোগের ঝুঁকি কম। তবে বৃষ্টি হলে এডিস মশার উপদ্রব বাড়তে পারে এবং সেক্ষেত্রে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ দেখা দিতে।
সেগুনবাগিচা ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান রতনসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, বিডি ক্লিনের সেচ্ছাসেবী এবং সিটি করপোরেশনের মশক নিধন কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন এ সময়।
/ এআর /